থাইল্যান্ডে সেনা সদস্যের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত ২০
থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নাখন রাচাসিমা শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় দেশটির সেনাবাহিনীর এক সদস্যের এলোপাতাড়ি গুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে ওই সেনাসদস্য হঠাৎ রাচাসিমায় এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে অন্তত ২০ জনের প্রাণহানি ঘটে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম খবর দিয়েছে।
দেশটির পুলিশের এক মুখপাত্র ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ওই বন্দুকধারী মেশিনগান ব্যবহার করেছেন। নিরীহ মানুষদের লক্ষ্য করে চালানো গুলিতে ২০ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি এই মুহূর্তে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারছি না। পুলিশ ওই এলাকায় মানুষের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
বন্দুকধারীকে থাই সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মেজর জ্যাকাপান্থ থমা হিসেবে শনাক্ত করেছে দেশটির পুলিশ। কোরাট শহরের রাচাসিমায় হামলা চালানোর আগে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি চুরি করেন থমা। পরে সেই গাড়ি নিয়ে রাচাসিমায় পৌঁছে নির্বিচার গুলিবর্ষণ করেন তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ছবি এবং ভিডিওতে আতঙ্কিত লোকজনকে প্রাণ বাঁচাতে ঘটনাস্থল থেকে চারদিকে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। কোরাট পুলিশ বলছে, রাচাসিমায় শপিংমলের ২১ নম্বর টার্মিনাল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে এখনও ওই বন্দুকধারীকে গ্রেফতার করা যায়নি।
ব্যাংকক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাকারী ওই সেনাসদস্য সেনাবাহিনীর একটি শিবিরে প্রথমে তার কমান্ডারকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেন। ওই সময় আরও দুই সেনাসদস্যকে গুলি করে স্বয়ংক্রিয় একটি রাইফেল নিয়ে পালিয়ে যান। পরে মং জেলার শপিং মলের ২১ নম্বর টার্মিনালের দিকে যেতে যেতে গুলি বর্ষণ করেন তিনি।
স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই হামলার দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করেন ওই সেনাসদস্য। শপিংমল এলাকায় হামলা শুরুর দিকে রাইফেল হাতে নিয়ে একটি সেলফি তোলেন তিনি। ফেসবুক লাইভের ক্যাপশনে লিখেন, অনেক বেশি ক্লান্ত।
এই পোস্টের কিছুক্ষণ পরই ফেসবুক লাইভ বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
সূত্র : এএফপি, আলজাজিরা, ব্যাংকক পোস্ট।
এসআইএস/জেআইএম