করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও একটি হাসপাতাল চালু
চীনের প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের প্রাণকেন্দ্র হুবেই প্রদেশের উহানে আরও একটি অস্থায়ী হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। শনিবার প্রায় দেড় হাজার শয্যার এ হাসপাতালে প্রথম দফায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী ভর্তি করা হয়েছে বলে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
দেশটির সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভি বলছে, শনিবার উহানে তৈরি অস্থায়ী লেইশেনশানে হাসপাতাল খুলে দেয়া হয়েছে। এ হাসপাতালে প্রথম একটি মেডিকেল টিম পৌঁছেছে। নতুন এ হাসপাতালে ইতোমধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
হাসপাতালটিতে ৩২টি ওয়ার্ড এবং একটি সার্জিক্যাল কক্ষ রয়েছে বলে জানিয়েছে সিসিটিভি। চীনের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হুবেইয়ের রাজধানী উহান। করোনাভাইরাসের প্রকোপ সামলাতে এ শহরে জরুরিভিত্তিতে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ করছে দেশটির সরকার।
এর আগে গত সোমবার করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় মাত্র ১০ দিনে তৈরি অস্থায়ী একটি হাসপাতালে প্রথম ধাপে রোগীদের চিকিৎসাসেবা শুরু হয়। উহানের হুওশেনশানে এক হাজার শয্যার হাসপাতালটিতে প্রথম করোনাভাইরাস রোগীর চিকিৎসা শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
হুওশেনশান হাসপাতালটির নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়ে যাওয়ায় সোমবার রোগী ভর্তি করা হয়। ২০০৩ সালে সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের (সার্স) মহামারির সময় দেশটির উত্তরাঞ্চলে মাত্র সাতদিনে অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির পর চিকিৎসাসেবা দেয়ার নজির গড়েছিল চীন।
চীনের মধ্যাঞ্চলের হুবেই প্রদেশের উহানের দক্ষিণ-পশ্চিমে ঝিয়িন হ্রদের কাছে হুওশেনশান হাসপাতালটি তৈরি করা হয়। মাত্র ১০ দিনে হাসপাতালটির নির্মাণযজ্ঞে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় সাত হাজার শ্রমিক ও কর্মকর্তা। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা সিনহুয়া বলছে, হাসপাতালটি তৈরিতে প্রায় ৮ হাজার ভারী সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন) বলছে, চীনে এখন পর্যন্ত নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৫৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৭২৩ জন। চীনের বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭০ জন। এছাড়া চীনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ২ হাজার ৫০ জন।
এসআইএস/এমকেএইচ