ওমর-মেহবুবাদের গৃহবন্দি রাখতে নতুন কৌশল কাশ্মীরে
গেল বুধবার ছয়মাস পূর্ণ করল অবরুদ্ধ কাশ্মীর। গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল। রাজ্যের মর্যাদা হারায় কাশ্মীর। সেই থেকে উপত্যকার বন্দিদশা অব্যাহত। গৃহবন্দী আছেন সাবেক এই রাজ্যের তিন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি।
এরইমধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে জনসুরক্ষা আইনে মামলা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইন অনুযায়ী, অভিযুক্তকে শুনানি ছাড়াই তিন মাস অবধি আটক করে রাখা যায়। ফলে গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ আরও কয়েক মাস বাড়ল ওমর, মেহবুবা ও ফারুকের।
জনসুরক্ষা আইনে প্রথম মামলাটি হয় ফারুক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে। ৮৩ বছরের এই রাজনীতিকের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্টের অভিযোগ আনে পুলিশ।
কাশ্মীরে কেন রাজনীতিকদের গৃহবন্দি করে রাখা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন অনেকেই। প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন কূটনীতিকও। এই পরিস্থিতিতে জনসুরক্ষা আইনে মামলা করে কাশ্মীরি নেতাদের গৃহবন্দিত্বের পক্ষে যুক্তি সাজানো হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
কাঠ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে জম্মু-কাশ্মীর জনসুরক্ষা আইনটির সূচনা করেন ফারুকের বাবা, কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ। এই আইনের জোরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্টের অভিযোগ তুলে কাউকে শুনানি ছাড়াই আটক করে রাখতে পারে সরকার। ওমর ও মেহবুবার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর মেহবুবার মেয়ে সানা ইলতিজা মায়ের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করেন, 'যে স্বেচ্ছাচারী সরকার দেশদ্রোহী মন্তব্যের অভিযোগে ৯ বছরের বাচ্চার বিরুদ্ধে মামলা করে, তাদের কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশিত। প্রশ্নটা হল, কতদিন আমরা নীরব দর্শক হয়ে থাকব?'
Ms Mufti received a PSA order sometime back.Slapping the draconian PSA on 2 ex J&K CMs is expected from an autocratic regime that books 9 year olds for ‘seditious remarks’. Question is how much longer will we act as bystanders as they desecrate what this nation stands for?
— Mehbooba Mufti (@MehboobaMufti) February 6, 2020
এনএফ/এমএস