করোনাভাইরাসে এবার হংকংয়ে একজনের মৃত্যু
করোনাভাইরাসে এবার হংকংয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ওই ব্যক্তি গত জানুয়ারিতে চীনের উহান শহরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তিনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এ নিয়ে চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে দু'জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। এর আগে ফিলিপাইনে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ৪৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি চীনের নাগরিক। তিনি উহান শহর থেকে ফিলিপাইনে গিয়েছিলেন। এরপর সেখানেই মারা গেছেন।
এদিকে, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত সেখানে ৪২৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া আরও প্রায় ২০ হাজার ৪৩৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে আরও ২৩টি দেশে কমপক্ষে আরও ১৫১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
হংকংয়ে এখন পর্যন্ত ১৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। মহামারির আশঙ্কায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই চীন থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের এ ভাইরাস ঠেকাতে চীন-ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান।
ফিলিপাইনসহ অনেক দেশই এই ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে চীন থেকে আগতদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক দেশের এয়ারলাইন্স চীনগামী ফ্লাইটও বন্ধ করে দিয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব থেকে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চীন।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ কী?
এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শুরুতে জ্বর ও শুষ্ক কাশি হতে পারে। এর সপ্তাহখানেক পর শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। অনেক সময় নিউমোনিয়াও হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা লাগে। তবে এসব লক্ষণ মূলত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই জানা গেছে।
সেক্ষেত্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একদম প্রাথমিক লক্ষণ কী বা আদৌ তা বোঝা যায় কি-না তা এখনও অজানা। তবে নতুন এই করোনাভাইরাস যথেষ্ট বিপজ্জনক। সাধারণ ঠান্ডা-জ্বরের লক্ষণ থেকে এটি মৃত্যুর দুয়ার পর্যন্তও নিয়ে যেতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের নাম দিয়েছে ২০১৯ নভেল করোনাভাইরাস।
টিটিএন/জেআইএম