করোনাভাইরাস আতঙ্কে নিম্নমুখী এশিয়ার শেয়ারবাজার
করোনাভাইরাস আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। চীনসহ অন্তত ১৯টি দেশে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ধরা পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে অর্থনীতিতেও। এরই মধ্যে ধস নেমেছে এশিয়ার শেয়ারবাজারে।
বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার কসপির সূচক নেমে গেছে ০.৫ শতাংশ, জাপানের নিক্কেই ২২৫ নেমেছে এক শতাংশ। সবচেয়ে বড় ধসের মুখে পড়েছে হংকংয়ের হ্যাং সেং ইনডেক্স (এইচএসআই)। এর সূচক ০.৮ শতাংশ কমে গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে।
সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ১৭০ জন, গত একদিনেই মারা গেছে ৩৮ জন। এছাড়া শুধু উহান শহরেই প্রাণহানি ১৬২ জনের, আক্রান্ত অন্তত সাড়ে চার হাজার। আর চীনে সরকারি হিসাবে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে ৭ হাজার ৭শ ১১ জন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ চীনগামী বিমানের ফ্লাইট বাতিল করছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, এয়ার এশিয়া, ক্যাথে প্যাসিফিক, এয়ার ইন্ডিয়া ও ফিনএয়ার ইতোমধ্যে চীনগামী ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে। যেসব যাত্রী চীনে যাওয়ার জন্য বিমানের টিকেট কিনেছিলেন, তাদের টাকা ফেরত দিচ্ছে অন্যান্য বিমানসংস্থাগুলোও। এমন পরিস্থিতি চীনের অর্থনীতিতে বড় আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
জেপি মরগান অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের এশিয়া বিষয়ক চিফ মার্কেট স্ট্রাটেজিস্ট তাই হুই বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, যদিও এর বেশিরভাগই চীনে। আমরা আশা করি, এই মুহূর্তে এশিয়ার বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকির বিপরীত দিকেই নজর ধরে রাখবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল জানিয়েছেন, তারা করোনাভাইরাস পরিস্থিতির দিকে সাবধানতার সঙ্গে নজর রাখছেন। তার ধারণা, এই সংকট চীনের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
তিনি বলেন, ভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক এই দুর্দশা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এটা কতদূর ছড়াবে এবং চীন ও তার বৈশ্বিক সহযোগিদের অর্থনীতিতে কত বড় প্রভাব ফেলবে তা নিশ্চিত নয়। এই পরিস্থিতিতে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ফেডারেল ব্যাংক। নববর্ষ উপলক্ষে বৃহস্পতিবারও বন্ধ থাকছে চীনের শেয়ারবাজার। আগামী সোমবার পুণরায় চালু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: সিএনএন
কেএএ/টিটিএন/জেআইএম