নির্বাচনে হার, দলীয় প্রধানের পদ ছাড়ছেন করবিন
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দল। শুধু জয় নয় বিরোধী দল লেবারের থেকে অনেক আসনে জয়ী হয়েছে তার কনজারভেটিভ পার্টি। লেবার পার্টির শোচনীয় পরাজয়ের পর দলটির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, আগামী নির্বাচনে তিনি পার্টির নেতৃত্বে থাকবেন না।
গতকাল ব্রিটিনের এক মেয়াদে তৃতীয়বারের মতো সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে অবশ্য নর্থ লন্ডনের ইসলিংটন আসনে জয় পেয়েছেন লেবার নেতা জেরমি করবিন। তবে প্রাথমিক ফলে গতবারের চেয়ে ৪২টি আসন কম পেয়েছে লেবার পার্টি। তাইতো নিজের কাঁধে পরাজয়ের দায় নিয়ে প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।
দলের পরাজয়ের খবর আসা শুরু করলে করবিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে আমাদের কাছে যে ফলাফল এসেছে তাতে তাতে আজকের রাত লেবার পার্টির জন্য অত্যন্ত হতাশার রাত। হারের ইঙ্গিত আসার পরপরই দলের ভেতরে কোন্দল শুরু হয়। বামপন্থী এই দলটির অনেক নেতাই করবিনের পদত্যাগ দাবি করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দিনভর যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের ৬৫০টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়। তাতে গতবারের চেয়ে ৬৬টি আসন বেশি পেয়ে ক্ষমতাসীয় কনজারভেটিভ পার্টি ৩৬৪ আসনে জয়লাভ করে। বিপরীতে গত নির্বাচনের চেয়ে ৪২ আসন কম লেবারের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ২০৩টিতে।
হাউস অব কমন্সের সরকার গঠন করতে হলে কোনো দলকে অন্তত ৩২৬টি সংসদীয় আসনে জয়ী হতে হয়। প্রধান দুই দল কনজারভেটিভ ও লেবারের বাইরে বাকি ৮৩ আসনের মধ্যে স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি ৪৮টি, লিবারের ডেমোক্র্যাট ১১টি, ডেমোক্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি ৮টি এবং অন্যান্য দল ১৫টি আসনে জয়লাভ করেছে।
করবিনের লেবার পার্টির প্রার্থীরা তাদের দলীয় ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত অনেক আসনে পরাজিত হয়েছেন। তবে ২০১৫ সালে দলের হাল ধরা করবিন নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য ভোটার, পরিবার ও বন্ধুদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘লেবারের নীতি এখনও জনপ্রিয়। তবু ব্রেক্সিটের পক্ষে সমর্থনের বিশাল ঢেউয়ের কাছে সেই নীতির হার হয়েছে।’
এসএ/এমকেএইচ
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বৃষ্টির বাগড়া, কমতে পারে ভোটার উপস্থিতি
- ২ হাসিনার আমলে গুম ২০০ লোকের খোঁজ মেলেনি: তদন্ত কমিশন
- ৩ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে বাংলাদেশে কী প্রভাব পড়বে?
- ৪ যেসব অঙ্গরাজ্যে নির্ধারিত হবে ট্রাম্প-হ্যারিসের ভাগ্য
- ৫ যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতার শঙ্কায় বিভিন্ন রাজ্যে কড়া নিরাপত্তা