ইরানের ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণঘাতী মালামাল ও অস্ত্র পরিবহনের অভিযোগে বুধবার ইরানের বৃহত্তম এয়ারলাইন এবং এর জাহাজ কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়া হয়।
গত শনিবার বন্দি বিনিময় করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের স্নাতকের শিক্ষার্থী জিউয়ে ওয়াং গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তিন বছর ধরে ইরানে বন্দি ছিলেন। অপরদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অভিযোগে ইরানি গবেষক মাসুদ সোলাইমানিকে আটক করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বৈরি সম্পর্কের এই দেশ দু'টির মধ্যে বন্দি বিনিময় খুব একটা দেখা যায় না।
দু'দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের এমন বিরল ঘটনার কয়েক দিনের মাথায় ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এরপরেই নতুন করে ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করে।
অপরদিকে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে সফরে নিজ দেশের নাগরিকদের বিশেষ করে বিজ্ঞানীদের সতর্ক করেছে ইরান। মঙ্গলবার এই সতর্কতা জারি করা হয়। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিচারবহির্ভূত আটক বা আমানবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন ইরানিরা।
সাংহাইভিত্তিক ইসেইল জাহাজ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ওই কোম্পানি জেনেশুনেই ইরানের মহাকাশ শিল্প সংস্থা থেকে অবৈধ মালামাল পরিবহন করেছে। ওই প্রতিষ্ঠান ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করে থাকে। এমনকি জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ইরানি সংগঠনের সঙ্গেও কাজ করে তারা।
২০২০ সালের জুন থেকে ইসেইলের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান শিপিং লাইনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। মাহান এয়ারের ওপরও নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
টিটিএন/জেআইএম