মৃত্যুর পরেও বারবার ধর্ষণ করা হয় তরুণী চিকিৎসককে
ভারতের হায়দরাবাদে তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। রিমান্ডে তারা জানিয়েছে, মৃত্যুর পরও লরির কেবিনে ওই তরুণীকে একে একে চারজনই ধর্ষণ করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদপ্রতিদিন এ তথ্য জানায়।
পূর্ব পরিকল্পনামাফিক আলিয়াস আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন এবং চেন্নাকেসাভুলু প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ধর্ষণ করেন ওই তরুণী চিকিৎসককে। প্রমাণ সরিয়ে ফেলতে ধর্ষণের পর পেট্রল ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয় মৃতের শরীর।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে হায়দরাবাদের সামশাবাদ টোলপ্লাজার সামনে স্কুটি রাখেন ওই তরুণী চিকিৎসক। সেখানে এক চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে টোলপ্লাজার সামনে আসেন তরুণী চিকিৎসক। তিনি দেখেন, তার স্কুটির চাকা পাংচার হয়ে গেছে। সেইসময় দুজন লরিচালক এবং খালাসি তরুণীর কাছে আসেন। তারা তার স্কুটির চাকা সারিয়ে দেয়ার কথা বলেন। তাদের কথায় বিশ্বাস করেন তরুণী চিকিৎসক।
স্কুটি সারাতে নিয়ে যান দুজন। কিন্তু গ্যারেজ বন্ধ থাকার কথা বলে স্কুটি নিয়ে ফিরে আসেন তারা। সেই সময় বোনের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন চিকিৎসক। তিনি শেষবারের মতো বোনকে বলেন, তার ভয় লাগছে। তারপর থেকে তরুণী চিকিৎসকের ফোন সুইচড অফ হয়ে যায়।
তরুণীকে টেনেহিঁচড়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যায় ধর্ষকরা। এরপর সেখানে একে একে চারজন ধর্ষণ করেন তাকে। ধর্ষণের ফলেই মৃত্যু হয় ওই তরুণীর।
ধর্ষণের পর মৃত্যু নিশ্চিত হলে লরির কেবিনে তুলে নেয়া হয় তরুণীকে। পুলিশ রিমান্ডে ধর্ষকরা জানিয়েছে, জাতীয় সড়ক দিয়ে লরিতে করে তরুণীর দেহ নিয়ে যাওয়ার পথে চারজন আবার ধর্ষণ করেন তাকে। এরপর স্কুটি থেকে তাকে ফেলে দেয়া হয়। জোগাড় করা হয় পেট্রল। পরে স্থানীয় এক ব্রিজের নিচে নিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয় তরুণীর মরদেহ।
বৃহস্পতিবার সকালে ওই তরুণীর সম্পূর্ণ অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। একটি লকেটের সূত্র ধরেই তার দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের লোকজন।
এসআর/জেআইএম