‘হিটলারকেও বিজ্ঞাপন প্রচার করতে দিতো ফেসবুক’
ব্রিটিশ কমেডিয়ান সাশা ব্যারন কোহেন বলেছেন, ১৯৩০ এর দশকে যদি ফেসবুক থাকতো তাহলে তারা হিটলারকে তার ইহুদিবিদ্বেষী ধ্যান ধারণা প্রচারের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিতো। আলি জি, দ্য ডিক্টেটর এর মত ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রের তারকা নিউ ইয়র্কে এক ভাষণে ফেসবুকের এমন সমালোচনা করেন।
পাশাপাশি গুগল, টুইটার ও ইউটিউবের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা কোটি কোটি মানুষের মধ্যে অস্বাভাবিক বিষয়বস্তুর জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক প্রচারণাকে কেন্দ্র করে ভুল তথ্য যেন না ছড়ানো হয়; তা নিশ্চিত করতে ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান ও সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলো চাপের মধ্যে রয়েছে।
গত অক্টোবরের শেষদিকে টুইটার ঘোষণা দেয়, ২২ নভেম্বর থেকে তারা বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার করা থেকে বিরত থাকবে।
এই সপ্তাহের শুরুতে গুগল দাবি করেছে, ব্যক্তির সার্চ হিস্টরি বা ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ওই ব্যক্তির জন্য বিশেষায়িত বিজ্ঞাপন যেন রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনদাতারা তৈরি না করে, তা নিশ্চিত করবে তারা।
বিশ্লেষকদের মতে, এ রকম কিছু আইন মানার ব্যাপারে ব্যাপক চাপের মধ্যে রয়েছে ফেসবুক। ফেসবুক তাদের এক বিবৃতিতে বলেছে, অভিনেতা ব্যারন কোহেন তাদের নীতিগুলো ভুল বুঝেছেন এবং ফেসবুকে ঘৃণা উদ্রেককারী বক্তব্য প্রচার করা নিষিদ্ধ।
ব্যারন কোহেন কী বলেছেন?
অ্যান্টি-ডিফেমেশন লিগের একটি সম্মেলনে ফেসবুকের প্রধান মার্ক জুকারবার্গের কঠোর সমালোচনা করেন ব্যারন কোহেন। যেসব রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে কিছু মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়, অক্টোবরে এক সম্মেলনে সেসব বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ না করার একটি সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছিলেন মার্ক জুকারবার্গ।
ওই বক্তব্যের সমালোচনা করে অভিনেতা ব্যারন কোহেন বলেন, আপনি যদি তাদের টাকা দেন, তাহলে তারা যে কোনো রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন চালাবে, এমনকি সেটি যদি মিথ্যা হয় তবুও। এই নীতি অনুসারে ফেসবুক যদি ১৯৩০ এর দশকে থাকতো, তাহলে তারা হিটলারকেও ইহুদি সমস্যার সমাধান বিষয়বস্তুতে ৩০ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে দিতো।
ব্যারন কোহেন মন্তব্য করেন, সামাজিক মাধ্যম কীভাবে ঘৃণা, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা ছড়ায় তা বুঝে এর ব্যবহার সম্পর্কে নতুন করে চিন্তা করার সময় এসেছে। আমার মনে হয় আমরা সবাই একটা বিষয়ে একমত হবো যে, ধর্মান্ধ ও শিশু নির্যাতনকারীদের চিন্তাভাবনা প্রসারের উদ্দেশ্যে তাদেরকে বিনামূল্যে একটি প্ল্যাটফর্ম দেয়া মোটেই উচিত হবে না। বিবিসি বাংলা।
এসআইএস/পিআর