মমতার ফোনে আড়িপাতা হয়েছে
ফোনে আড়ি পাতার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেছেন। শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ফোনেও আড়িপাতা হয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপ এবং মোবাইল এখন নিরাপদ নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মমতা বলেন, ল্যান্ডফোনেও দীর্ঘদিন ধরে আড়িপাতা হয়েছে। এ সবই চক্রান্ত।
মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মমতা বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি, এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক। যদি কোনভাবে এই সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে আমরা আদালতে যাব। জরুরি অবস্থাতেও এসব হয়নি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ সবই হচ্ছে কেন্দ্রের নির্দেশে। ইসরায়েলি সংস্থা এনএসও-এর তৈরি স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারও একথা স্বীকার করে নোটিস পাঠিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপকে। আর এই ঘটনায় সরাসরি কেন্দ্রের ওপর দোষ দিয়েছেন মমতা।
তিনি বলেন, ‘শুধু রাজনৈতিক নেতাই নন, সমাজকর্মীদেরও ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে, রেকর্ড করা হচ্ছে। সুপার ইমার্জেন্সির চেয়েও গুরুতর বিষয় এটি। আমি কি কারো সঙ্গে কথা বলতে পারব না? কাজ করব না? সন্ধ্যার সময় অফিস ছুটির পর আমাকে অনেক সময় পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে হয়। সেখানেও আড়িপাতা হচ্ছে। সরকারি কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে। এটা খুবই চিন্তার বিষয়। সবকিছুতেই নজরদারি চালানো হচ্ছে। এটা ঠিক নয়।
মোদি সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ইসরায়েলের এনএসও সংস্থা ফোনে আড়িপাতার ওই সফটওয়্যার কেন্দ্রকে দিয়েছে। এর সঙ্গে দুটি রাজ্যের সরকারও যুক্ত আছে। আমি তাদের নাম বলব না। তার মধ্যে একটি রাজ্যে বিজেপি সরকার রয়েছে। ফোনে আড়িপাতার জন্য একটি বিশেষ গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই গাড়ির মধ্যে ওই সফটওয়্যার রয়েছে। গাড়ি যেখানে যাচ্ছে সেখানকার ১০ একরের মধ্যে কি কথা বলা হচ্ছে তা রেকর্ড করা হচ্ছে।
আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিচারপতিদের ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপেও আড়িপাতা হচ্ছে। শুধু তাই নয় রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, আমলা, সাংবাদিকদেরও ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে।
টিটিএন/পিআর