ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের চালু হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:১৭ এএম, ২১ অক্টোবর ২০১৯

দেড় যুগেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও বঙ্গবন্ধু চেয়ার চালু হতে যাচ্ছে।

আগামী বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশটির সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশ বিষয়ে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে বাংলাদেশের ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে ১৯৯৯ সালে হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপ’ চেয়ার প্রতিষ্ঠা করা হয়। চালু হওয়ার প্রথম দুই বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা শিক্ষকরা এ ফেলোশিপের আওতায় যোগ দেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ বিষয়ে পাঠদান করেন। তবে ২০০২ সালের পর আর কোনো শিক্ষক এ ফেলোশিপের আওতায় যোগদান না করায় এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবকিছু ঠিক থাকলে জার্মানির বিখ্যাত হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী বছর থেকে আবারও বঙ্গবন্ধু চেয়ার চালু করা হবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নভেম্বরে সমঝোতা চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন বার্লিনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ।

তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘আমরা দুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেয়েছি হাইডেলবার্গে বঙ্গবন্ধু চেয়ার চালুর জন্য। আগে পেলে আজকেই মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং সাইন করতে পারতাম। আশা করছি আগামী নভেম্বরে এটা করবো। তাহলে ২০২০ সালের এপ্রিলের মধ্যেই হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই চেয়ার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।’

এদিকে রোববার (২০ অক্টোবর) বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসে একটি বঙ্গবন্ধু কর্নারও চালু করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকসহ জার্মানি সফররত বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা।

হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুয়াযায়ী, ১৯৯৯ সালের ৫ই আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জার্মানিতে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত কাজি আনোয়ারুল মাসুদ এবং হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এর দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের তৎকালীন পরিচালক ড. হান্স জর্জ বোহলে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

এমএসএইচ