যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান প্রত্যাখ্যান তুরস্কের
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্ককে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। এক বিবৃতিতে এরদোয়ান জানিয়েছেন, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সামরিক অভিযান চলবে।
সম্প্রতি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তুরস্কে সফর করবেন বলে জানা গেছে। তারা যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্ততার চেষ্টা করছেন।
এদিকে, মঙ্গলবার রাশিয়ার তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে যে, তারা ওই অঞ্চলে তুর্কি এবং সিরীয় বাহিনীর মধ্যে কোনো ধরনের সংঘর্ষের অনুমতি দেবে না। সিরিয়ায় মস্কোর বিশেষ দূত আলেকজান্ডার ল্যাভরেন্টিভ বলেন, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এটা অবশ্যই মেনে নেব না।
তুরস্ক বলছে, তারা সীমান্ত থেকে কুর্দি বাহিনীকে হটাতে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। অন্তত ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত কুর্দিদের হটিয়ে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ তৈরি করতে চায় তারা। তুরস্কে থাকা ৩০ লাখের বেশি সিরীয় শরণার্থীকে ওই অঞ্চলে পুনর্বাসিত করার পরিকল্পনার কথাও বলেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। তবে সমালোচকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এর ফলে ওই অঞ্চলে বসবাসরত কুর্দিরা জাতিগত নিধনের শিকার হতে পারে।
গত সপ্তাহেই সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। সমালোচকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে তুরস্ককে সামরিক অভিযানের সবুজ সংকেত দিয়েছে। সে কারণেই মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার পর পরই সেখানে সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক জোট রাশিয়া। ২০১৫ সালে আসাদ বাহিনীকে সহায়তার জন্য সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া। এক বিবৃতিতে এরদোয়ান বলেন, তারা বলছে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে। কিন্তু আমরা কখনও যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করব না।
এরদোয়ান আরও বলেন, তারা আমাদের সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য চাপ দিচ্ছে। তারা আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য পরিষ্কার। আমরা কোনো নিষেধাজ্ঞায় ভয় পাই না। বৃহস্পতিবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় মাইক পেন্স এবং পম্পেওর সঙ্গে সাক্ষাত করবেন এরদোয়ান।
টিটিএন/পিআর