যে কারণে চিকিৎসার নোবেল পেলেন তারা
দেহে অক্সিজেনের উপস্থিতির পর কোষের সাড়াদানের প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করে চলতি বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন ও ব্রিটিশ তিন বিজ্ঞানী। মার্কিন চিকিৎসাবিদ উইলিয়াম জি. কেইলিন জুনিয়র ও গ্রেগ এল সেমেনজার এবং যুক্তরাজ্যের স্যার পিটার জে র্যাটক্লিফের এই গবেষণা যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। এ বছর চিকিৎসায় নোবেল দেয়া হয়েছে প্রকৃত অর্থে দেহতাত্ত্বিক গবেষণার জন্য।
সুইডেনের কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) চিকিৎসা বিজ্ঞানে চলতি বছরের এই তিন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে। অক্সিজেনের প্রাপ্যতার সঙ্গে প্রাণীর শরীরের কোষের সাড়া দেয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করার জন্য মার্কিন ও ব্রিটিশ এই তিন বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেন।
অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে সেক্ষেত্রে শরীর কীভাবে সাড়া দেয়, সে বিষয়টিই ছিল তাদের গবেষণার মূল বিষয়। যখন শরীরে অক্সিজেনের স্বল্পতা দেখা দেয় দেয়; তখন হরমোন এরিথ্রোপয়েটিন (ইপিও) বেড়ে যায়। তখন এটি লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা পুরো শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে।
কিন্তু এভাবে অক্সিজেন সরবরাহেরও পরও কোষগুলো কেমন করে সাড়া দেয়? আজ যারা চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন তারা মূলত এই বিষয়টি উদঘাটন করেছেন। মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে ক্যান্সার চিকিৎসার নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য গতবার দুজন এ পুরস্কার পান।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে এবারের তিন নোবেল বিজয়ী গবেষণার মাধ্যমে উদঘাটন করেছেন যে, যখন শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় তখন প্রোটিনের কমপ্লেক্স (এইচআইএফ) বৃদ্ধি পায়। অক্সিজেন সরবরাহ যখন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে থাকে, তখন এইচআইএফ দ্রুত কমতে থাকে।
কিন্তু যখন শরীরে অক্সিজেন সরবরাহের পরিমাণে স্বল্পতা দেখা দেয়, তখন আবার এটা বাড়তে শুরু করে। হরমোন এরিথ্রোপয়েটিনের জন্য জিনের কাছে ডিএনএ সেগমেন্টে প্রোটিনের কমপ্লেক্স গুরুতরভাবে অবস্থান করে এবং জিনের এক্সপ্রেশন ও ইপিওর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
এই বিজ্ঞানীরা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রোটিনের জটিলতা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া উন্মোচন করেছেন। পাশাপাশি তারা কোষের ভেতরে কীভাবে অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত কমে যায় এবং অক্সিজেন সংবেদনশীল এনজাইমের মূখ্য ভূমিকা প্রকাশ পায়; সেটিও দেখিয়েছেন।
এসএ/এসআইএস/জেআইএম