ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

কলকাতায় ৫০ কেজি স্বর্ণের প্রতিমা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:৩৭ পিএম, ০৬ অক্টোবর ২০১৯

গোটা ভারতে এখন উৎসবের জোয়ার। তাদের এই উৎসবের উপলক্ষ্য হলো দুর্গাপূজা। প্রতি বছর উৎসবের আমেজ বাড়ার সঙ্গে আয়োজন হচ্ছে যথাসম্ভব বৃহৎ আকারে। দেশটির বাংলাভাষী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গও এই উৎসব আয়োজনের অন্যতম সঙ্গী। কলকাতায় এবার বড় আকর্ষণ ৫০ কেজি স্বর্ণের তৈরি প্রতিমা।

ইন্ডিয়া ট্যুডের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কলকাতা যেন এবার বর-বধূর মতো নানা রঙে সেজেছে। সেই আলোর ঝলকানিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ মেতেছে উৎসবের আমেজে। কলকাতার আড়াই হাজার মন্ডপের মধ্যে সন্তোষ মিত্র স্কয়ারের পূজামণ্ডপের ৫০ কেজি স্বর্ণের প্রতিমা তাই অনন্য।

কলকাতা শহরের অন্যতম পরিচিত এলাকা শিয়ালদহের কাছে সন্তোষ মিত্র স্কয়ারের সর্বজনীন পূজা মন্ডপের শুধু দুর্গাপ্রতিমা নয় সঙ্গে অসুর এবং সিংহও সাজানো হয়েছে স্বর্ণের পাত দিয়ে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এতে ব্যবহৃত হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ কেজি স্বর্ণ।

তবে কলকাতার প্রত্যেকটি পূজামন্ডপের রয়েছে নিজস্ব বৈশিষ্ট। শরতের বৃষ্টি উপেক্ষা করে তাইতো ওই পূজামন্ডপে হাজারো মানুষের উপচে পড়া ভীড় জমাচ্ছে। সবার একটাই আশা ‘অভিজাত’ এই দুর্গা প্রতিমাকে একবার স্বচক্ষে দেখা। অসংখ্য মানুষের এমন ভীড় মন্ডপটির জৌলুস বাড়িয়েছে বহুগুণ।

Durga-2

সন্তোষ মিত্র স্কয়ার সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির প্রেসিডেন্ট প্রদীপ ঘোষ টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘এই পূজামন্ডপ ৮৪ বছরের পুরনো। আমরা এবার একেবারে ব্যতিক্রম কিছু করার উদ্যোগ নিয়েছি। তারই প্রেক্ষিতে প্রতিমা তৈরি করেছি খাঁটি স্বর্ণ দিয়ে। প্রায় ৫০ কেজি স্বর্ণ প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে।’

গোটা পূজামন্ডপ এমনভাবে সাজানো হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে এ যেন আরেক শীষমহল। আর প্যান্ডেল তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১০ হাজার খন্ড কাচ। কলকাতার এই পূজামন্ডপে যাওয়া মানুষজন সম্মোহিত হচ্ছেন। তারা দুর্গাপূজার মধ্যেও দিওয়ালির মতো অনুভূতি উপভোগ করছেন।

মন্ডপে নিয়মিত যাওয়া আসার শ্রেয়া ব্যানার্জির। তিনি এবারের এই ব্যতিক্রম দুর্গাপ্রতিমা দেখে অভিভূত। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই অসাধারণ। যেভাবো সবকিছু সাজানো হয়েছে তা অসামান্য। আমরা এবারের এমন আয়োজন দেখে সত্যি খুবই মুগ্ধ।’

তবে এই মন্ডপের আরও একটি বিশেষ আকর্ষণ এখনো রয়েই গেছে। তা হলো পূজা শেষ হলেও এবারের এই প্রতিমা পানিতে ‘বিসর্জন’ দেয়া হবে না। এটা সেখানে রয়ে যাবে, যাতে করে মানুষজন বছরজুড়ে তাদের দুর্গাপ্রতিমার এমন ব্যতিক্রম রুপ দেখে মুগ্ধ হতে পারেন।

এসএ/জেআইএম

আরও পড়ুন