ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

অবশেষে সেই পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করল চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:১৯ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০১৯

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ক্ষমতা গ্রহণের ৭০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে দেশটির ইতিহাসে সম্ভবত সবচেয়ে বড় সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুচকাওয়াজে ডংফেং-৪১ নামের বিশাল পারমাণবিক অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রসহ নানা ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শন করেছে দেশটি।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাজধানী বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে আয়োজিত কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সামরিক কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। ১৯৪৯ সালের এ দিনে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আসে।

সমরাস্ত্র প্রদর্শনের প্রধান আকর্ষণ ছিল ডংফেং-৪১ নামের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। কেননা প্রথমবার এটি জনসম্মুখে আসলো। ক্ষেপণাস্ত্রটি একই সঙ্গে দশটি পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম এবং একইসঙ্গে দশটি পৃথক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।

Dong-Feng-2

ডংফেং-৪১ ক্ষেপণাস্ত্র

ডংফেং-৪১ নামের পরামাণবিক অস্ত্রবাহী ব্যালিস্টিক ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারবে। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতি ঘন্টায় ৭ হাজার ৬০০ মাইল বেগে চলতে পারে। যার মাধ্যমে পৃথিবীর অনেক দেশে সহজেই হামলা চালানো যাবে।

পনেরো হাজার কিলোমিটার পাল্লার ডংফেং-৪১ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রকে বলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। যার গতি শব্দের গতির চেয়ে ২৫ গুণ বেশি। চীনা ভাষায় ডংফেং শব্দের অর্থ হচ্ছে পূবালী বাতাস বা পূবের হাওয়া।

Dong-Feng-3

চীনা প্রযুক্তির অত্যাধুনিক ড্রোন

কুচকাওয়াজে ডংফেং নামের অত্যাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও চীনের ১৫ হাজার সেনা, ১৬০টির বেশি যুদ্ববিমান এবং ৫৬৮টি সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শিত হয়। এছাড়াও কুচকাওয়াজে সুপারসনিক ড্রোন, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং রোবট চালিত সাবমেরিন প্রদর্শিত হয়েছে।

তবে ডংফেং-৪১ ক্ষেপণাস্ত্রের উপস্থিতি সবকিছুকে ছাপিয়ে যায়। ডংফেং-৪১ নামের ক্ষেপণাস্ত্রের আগে চীন ডংফেং-৩১ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে যার পাল্লা ১১ হাজার ২০০ কিলোমিটার এবং এটিও যুক্তরাষ্ট্রে যেকোনো লক্ষবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

সূত্র : পার্স ট্যুডে

এসএ/পিআর

আরও পড়ুন