ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

চন্দ্রযান-২, খোঁজ মেলেনি ল্যান্ডার বিক্রমের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:০০ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করতে পারেনি ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। শনিবার ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিভান একথা নিশ্চিত করেছেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার প্রচেষ্টা করেছিল বিক্রম।

কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এই শনিবারই চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করার শেষ সময় ছিল। কেননা ১৪ দিন ছিল এই মিশনের সময়সীমা। কে শিভান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চন্দ্রযান ২-এর অরবিটার ভালই কাজ করছে। ওই অরবিটারে আটটি যন্ত্র রয়েছে।

প্রত্যেকটি ঠিকভাবে কাজ করছে কিন্তু ল্যান্ডারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমরা বোঝার চেষ্টা করছি ল্যান্ডারের কী হয়েছে। এটাই আমাদের অগ্রাধিকার। আমাদের পরের অগ্রাধিকার গগনযান মিশন।

চন্দ্রযান-২ মিশন ৯৮ শতাংশ সফল একথা জানিয়ে তিনি বলেন, দুটি বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলছি চন্দ্রযান-২ এর অভিযান ৯৮ শতাংশ সফল। একটি হলো বিজ্ঞান এবং অন্যটি হলো প্রযুক্তি প্রদর্শন। প্রযুক্তি প্রদর্শনে সাফল্যের শতকরা হার পুরোপুরি।

ইসরো ২০২০ সালে আরও একটি চন্দ্র অভিযান চালাবে বলেও জানান তিনি। চাঁদে সঠিকভাবে অবতরণ করতে পারলে ভারত হতো বিশ্বের চতুর্থ দেশ। রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন আগেই এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। কিন্তু চন্দ্রাবতরণের কয়েক মিনিট আগেই চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে ইসরোর সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

সূর্যের আলো না থাকার ফলে ল্যান্ডারের পক্ষে নিজে থেকে শক্তি উৎপন্ন করা সম্ভব নয় বলে ইসরো আগেই জানিয়েছিল। রাতের বেলা চাঁদের তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ২শ ডিগ্রিতে। ওই তাপমাত্রায় ল্যান্ডারের যন্ত্রপাতি জমে যায়। ফলে এটি কাজ করতে পারে না।

বৃহস্পতিবার ইসরোর তরফ থেকে এক টুইট বার্তায় জানানো হয়েছে যে, ইসরো ও জাতীয় পর্যায়ের শিক্ষাবিদদের মধ্যে পর্যালোচনা করা হবে কেন ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে গেল। এদিকে, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অরবিটার এলআরও বা লুনার রিকনাসান্স অরবিটার গত ১৭ সেপ্টেম্বর চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি তুলেছে। চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার বিক্রমের যেখানে নামার কথা ছিল সেখানকার ছবি ওই অরবিটার তুলেছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর ওই ছবি নাসা পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানানো হয়েছে।

টিটিএন/পিআর