চীন-রাশিয়া-ভারতের সোয়া লাখ সেনার সামরিক মহড়া
রাশিয়ার নেতৃত্বে তিন দেশের একটি যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। বিস্তৃত এই সামরিক মহড়ায় মস্কোর সঙ্গে আছে চীন ও ভারত। কাস্পিয়ান সাগর থেকে শুরু করে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত এই মহড়ায় দেশ তিনটির সোয়া লাখের বেশি সেনা অংশ নিয়েছে।
ত্রিদেশীয় এই সামরিক মহড়ার নাম দ্যা টেসন্টার-২০১৯। গত সোমবার থেকে এই সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। তাতে অংশ নিয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার সেনা এবং ২০ হাজারের বেশি সমরাস্ত্র। দক্ষিণ রাশিয়া থেকে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত এই মহড়া চলছে।
রুশ গণমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার সেনা ছাড়াও চীন ভারত এবং মধ্য এশিয়ার আরও চারটি দেশ কাজাখস্তান, তজিকিস্তান, কিরগিজিস্তান এবং উজবেকিস্তানের সেনারাও বিশাল এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে।
শত্রুদের মোকাবিলায় টি-৭২ নামের ট্যাঙ্কার এবং বেশ কিছু ধরনের এপিসি ছাড়াও মিগ-২৪ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও ইসকান্দার নামের স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চলানো হয়েছে। যেগুলো সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর গোপন আস্তানায় আঘাত হেনে তা ধ্বংস করতে সক্ষম।
স্থলে এসব সমরাস্ত্রের মহড়া তো চলেছই তার সঙ্গে কাস্পিয়ান সাগরে কয়েক ডজন রণতরি মোতায়েন করা হয়েছে। যেগুলো বিমান ভূপাতিত করতে এবং লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ভিডিও চিত্রে দেখা যাচ্ছে শুত্রুপক্ষের আসা রকেটগুলোকে গুলি করার পরীক্ষা চালাচ্ছে।
কিছু উন্নত প্রযুক্তির বোমা, ট্যাঙ্কারসহ চীনর ১ হাজার ৬০০ এর বেশি সেনা ওই যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছে। মূলত রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যাপক কৌশলগত অভিযান পরিচালনায় সক্ষমতার প্রদর্শন। চীনের সেনাবহরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন লে. জেনারেল লিও জিয়াওজু।
ভারতও তাদের সামরিক বাহিনীর সহস্রাধিক সেনা পাঠিয়েছে এই যৌথ মহড়ায়। ভারতীয় সংবিধান থেকে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংবলিত অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। ঠিক সেই মুহূর্তে তারা এই যৌথ সামরিক মহড়ায় সেনাবহর পাঠায়।
এসএ/এমকেএইচ