ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

মোরগের ডাক বন্ধে আদালতে মামলা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:১২ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ফ্রান্সে ‘মরিস’ নামে এক গলাবাজ মোরগের কণ্ঠরোধ করতে আদালতে মামলা ঠুকে দিয়েছেন এক দম্পতি। তবে আদালত তাদের দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, মরিস যখন খুশি গলা ছেড়ে ডাকতে পারবে। তার কণ্ঠরোধ করা যাবে না।

ফ্রান্সে আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলবর্তী ওলেরন দ্বীপে নিয়মিত ছুটি কাটাতে যাওয়া অবসরপ্রাপ্ত এক দম্পতি আদালতে মামলাটি করেছিলেন।

তবে মামলায় তারা সফল তো হনইনি, উল্টে আদালত তাদের ক্ষতিপূরণ ও মামলা বাবদ এক হাজার ডলারের বেশি খরচ দেবার নির্দেশ দিয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মামলা ফ্রান্সে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। যারা নিরিবিলি গ্রামীণ পরিবেশ পছন্দ করেন এবং শহুরে ব্যস্ততা থেকে কিছুটা শান্তির খোঁজে গ্রামে গিয়ে সময় কাটাতে চান, তাদের সঙ্গে গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধরে রাখার পক্ষে যারা তাদের মধ্যে কয়েক দশকের একটা বিরোধকে সামনে এনেছে ‘মরিস মোরগের’ এই মামলা।

মোরগের মালিক করিন ফেস্যোঁ বলেছেন, মরিসের ডাক নিয়ে কেউই কখনও অভিযোগ করেননি। তিনি রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, পশ্চিম ফ্রান্সে রশফোর্টের আদালতের আজকের রায়ে ‘মরিসের বিজয় গোটা ফ্রান্সের গ্রামীণ সংস্কৃতির বিজয়।’

ফ্রান্সে গ্রামবাসীদের অনেকের অভিযোগ, গ্রামে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য শহরের মানুষ গ্রামে একটা বাড়ি কিনছেন, কিন্তু গ্রামে থাকার বাস্তবতা অর্থাৎ সেখানে পশুপাখি ডাকবে, পোকামাকড় ঘুরে বেড়াবে- এগুলো তারা মানতে রাজি নন।

অবসরপ্রাপ্ত ওই দম্পতির দ্বিতীয় বাড়ি করিনদের গ্রামে। তারা থাকেন করিনদের পাশের বাড়িতে। করিন বলেছেন, শহরের মানুষকে বুঝতে হবে শহরের যেমন নিজস্ব কিছু শব্দ আছে, তেমনি গ্রামেরও নিজস্ব কিছু শব্দ আছে। তিনি বলেন, আমাদের এভাবে কোণঠাসা করা যাবে না। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মকে মেনে নিতে হবে। গ্রামের প্রকৃতিতে এগুলো স্বাভাবিক শব্দ। এ ধরনের শব্দ আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। আমাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও আমার পেছনে রয়েছেন।
এদিকে, মরিসের ভোরবেলা ডাকার অধিকারকে সমর্থন করে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ এক পিটিশানে সই করেছেন।

এর আগেও গরুর ডাক বা গরুর গলার ঘন্টার আওয়াজ বন্ধ করতে ফ্রান্সের আদালতে একই ধরনের মামলা হয়েছে। কিন্তু মরিস নামে এই মোরগের ডাক বন্ধ করার মামলা নিয়ে যে পরিমাণ আবেগ দেখা গেছে তা আগে দেখা যায়নি। এমনকি সুদূর ট্রাম্পের দেশ থেকে মরিসের সমর্থনে মানুষ চিঠি লিখেছে, পিটিশানে সই করেছে। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী মরিসের সমর্থনে টি-শার্টও বিক্রি করেছেন।

এসআর/পিআর

আরও পড়ুন