ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ইবোলা নিয়ে জরুরী বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রকাশিত: ০২:৪৩ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৪

ইবোলা ভাইরাস মোকাবেলায় কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জেনেভায় এক জরুরী বৈঠকে বসেছে। অন্যদিকে এই মহামারী ভাইরাস প্রতিরোধে, ডাব্লিউএইচ এর বিরুদ্ধে খুব ধীরগতিতে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।

ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে গিনি, সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়া- পশ্চিম আফ্রিকার এই তিনটি দেশে ইতোমধ্যেই সাড়ে চার হাজারেও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি এখনও ছড়িয়ে পড়ছে।

অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এ নিয়ে তিনবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কমিটি বৈঠকে বসলো- যার লক্ষ্য হচ্ছে ইবোলা রোগের বিস্তার ঠেকানো এবং তা নিয়ন্ত্রণের প্রয়াস থেকে কি অর্জিত হলো তার একটা পর্যালোচনা করা।

ইবোলা ঠেকাতে সীমান্তগুলোতে যে সব পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা কতটা কাজ করছে, ভ্রমণের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরও কঠোর করা দরকার কিনা- এ ব্যাপারগুলো কমিটির বৈঠকে দেখা হবে।

লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিওন এবং গিনিতে ইবোলা প্রকোপ কমার কোন লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। তবে আশার কথা হলো সেনেগাল এবং নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলো তাদের দেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে।

তাছাড়া আরেকটি ভালো খবর হলো একটি পরীক্ষামূলক ইবোলার টিকার প্রথম চালান বুধবার জেনেভায় এসে পৌছাচ্ছে - যা নিয়ে বিজ্ঞানীরা বেশ আশাবাদী।

এছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যেসব ইবোলা রোগী সেরে উঠেছে তাদের রক্ত থেকে এন্টিবডি সংগ্রহ করে তৈরি করা একটি সিরাম হয়তো কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ব্যবহার করা যেতে পারে।

লাইবেরিয়ায় কর্মরত চিকিৎসা বিষয়ক দাতব্য প্রতিষ্ঠান মেদসা স ফতিয়ের একজন বিশেষজ্ঞ ড. ড্যানিয়েল লুসি বলছেন, এই ধরণের পদ্ধতিগুলো অনেক দিন থেকেই ব্যবহৃত হচ্ছে এবং এগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত নয়। আমার মতে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ, পরীক্ষিত এবং সফল চিকিৎসা পদ্ধতি, যা দিয়ে রোগীর দেহ থেকে যে জলীয় পদার্থটা বের হয়ে গেছে তা প্রতিস্থাপন করা যায় এবং তার দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে ভাইরাস মোকাবিলা করা যায়।

গত ২৯ বছর ধরে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। ইবোলা মোকাবিলার অন্য পদ্ধতি বের করা গেলে তাকে অবশ্যই আমি স্বাগত জানাবো, তবে এটা ও ঠিক যে অনেক রোগীই এই ভাইরাস মোকাবিলা করে সেরেও উঠেছে। -বিবিসি