আবারও যুদ্ধবিমানের ককপিটে ফিরলেন অভিনন্দন
আবারও যুদ্ধবিমানের ককপিটে ফিরলেন ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। এর আগে ভারতের সীমান্তে ঢুকে পড়া পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করায় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে স্বাধীনতা দিবসে বীরচক্র সম্মানে ভূষিত করে ভারত।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় প্রায় ৫০ জওয়ান নিহত হয়। ওই হামলার ১৩ দিন পর ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানের বালাকোটে ঢুকে জঙ্গি ক্যাম্প ধ্বংস করে।
এরপর ভারতীয় সীমান্তে ঢোকার চেষ্টা চালায় পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান। কিন্তু বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান মিগ-২১ দিয়ে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে ড্রাগফাইটে নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশে ধ্বংস করে।
পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংসের পর অভিনন্দনের বিমানও ভেঙে পড়ে। তিনিও ভুল করে পাকিস্তানের সীমানায় নেমে পড়েন। এরপর পাকিস্তানি সেনারা তাকে ধরে ফেলেন। দীর্ঘ ৬০ ঘণ্টা পর ১ মার্চ পাকিস্তান থেকে অভিনন্দনকে ভারতে ফিরিয়ে দেয় পাকিস্তান। এরপরই দেশে ফেরেন তিনি।
পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার পাঁচ মাস পর আবারও মিগ-২১-এর ককপিটে ফিরলেন অভিনন্দন বর্তমান। বিমানে তার সঙ্গী হিসেবে ছিলেন বিমান বাহিনীর প্রধান বিএস ধানোয়া। মিনিট খানেকের রুটিনমাফিক বিমান উড়িয়ে ফিরে আসেন দুজন।
বিমান বাহিনীর প্রধান বিএস ধানোয়া বলেন, অভিনন্দনের সঙ্গে বিমানের রুটিনমাফিক অনুশীলনের সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। কারণ সে তার কাজে আবারও ফিরতে পেরেছে। যে কোনো পাইলটই এমনটা চায়। আমিও ১৯৮৮ সালে এ রকম পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছি। কাজে ফিরতে আমার ৯ মাস সময় লেগেছিল, যা সে ছয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে করে দেখাল।
বিমান বাহিনীর প্রধান বিএস ধানোয়া কার্গিল যুদ্ধের সময় অভিনন্দন বর্তমানের বাবা এয়ার মার্শাল সিমহাকুট্টি বর্তমানের সঙ্গে মিগ-২১-এর ককপিটে বসেছিলেন। অভিনন্দনের সঙ্গে মিগ-২১ বিমান ওড়ানোর পর এ কথা তিনি জানান।
টিটিএন/এমএস