ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

কাশ্মীর ইস্যুতে পদত্যাগ করা কর্মকর্তাকে কাজে ফেরাতে তোড়জোড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:০০ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৯

কাশ্মীরে মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে তাই বিব্রত হয়ে বাংলাদেশে সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) মতো ভারতের ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের (আইএএস) এক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু গণমাধ্যমের খবর, সেই কর্মকর্তাকে আবার স্বপদে ফেরাতে তোড়জোড় শুরু করেছে সরকার।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, কান্নান গোপীনাথান নামের ৩৩ বছর বয়সী ওই আইএএস কর্মকর্তার পদত্যাগপত্র এখনও গ্রহণ করা হয়নি। তাকে বলা হয়েছে, যদি তিনি চান তাহলে স্বপদে থেকে যেতে পারবেন। কাশ্মীরের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ হচ্ছে এবং তাতে কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ না থাকায় পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।

কান্নান গোপীনাথান তার পদত্যাগপত্রে লিখেছিলেন, ‘এটা ইয়েমেন নয় কিংবা এটা ১৯৭০ সালও নয় যে আপনারা একদল মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করবেন এবং কোনো মানুষ এটা নিয়ে কিছু বলতে পারবে না। সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে একটা অঞ্চলকে প্রায় একমাস ধরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’

তিনি পদত্যাগের কারণ হিসেবে আরও লিখেছেন, ‘আমি এটা নিয়ে কোনোভাবেই চুপ থাকতে পারবো না। আর যদি এটা হয় যে, বিষয়টি নিয়ে স্বাধীনভাবে কথা বলার জন্য আমাকে যদি আইএএস-এর চাকরি ছাড়তে হয় তাহলে আমি সেটাই করতে যাচ্ছি।’

আইএএস কর্মকর্তা আরও বলেন, সাধারণ মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা হরণ করতে যখন আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতিটির অপব্যবহার করা হচ্ছে এবং মানুষের চাওয়ার বিরুদ্ধে জরুরি অবস্থা জারি করা হচ্ছে, তখন তিনি কোনোভাবেই তার চাকরি অব্যাহত রাখতে পারেন না।’

প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গোপীনাথান নামের ওই আইএএস কর্মকর্তার উদ্দেশে একটি নোটিশ জারি করেছে সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগে। ওই নোটিশে বলা হচ্ছে, কোনো সরকারি কর্মকর্তার পদত্যাগ তখনই কার্কর হবে যখন সেটি গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ।

নোটিশে আরও গোপীনাথানকে বলা হচ্ছে, ‘যেহেতু আপনার পদত্যাগপত্র সরকার এখনও গ্রহণ করেনি তাই আপনাকে শিগগিরই আপনার কাজে ফিরতে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনাকে আপনার দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কান্নান গোপীনাথান গত ২১ আগস্ট তার পদত্যাগপত্র দাখিল করেন সংশ্লিষ্ট দফতরে। তিনি ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, তিনি ওই নোটিশের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না।

ভারতীয় প্রশাসনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন গোপীনাথান। পদত্যাগের আগে তিনি ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের জেলা দাদরা ও নগর হাভেলিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরে সচিব পদে কর্মরত ছিলেন। প্রকৌশলী কান্নান গোপীনাথান আইএএসে আবেদন করার আগে অলাভজনক সংস্থায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছেন।

এসএ/পিআর

আরও পড়ুন