স্পেনে চাকরি পেলেন সিরিয়ার সেই শরণার্থী বাবা
সম্প্রতি হাঙ্গেরির একটি বেসরকারি টেলিভিশনের একজন সাংবাদিক সিরিয়ার ওসামা আব্দুল মোহসেন নামে এক শরণার্থীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। পরে ওই সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ। এবার সন্তানকে নিয়ে স্পেনে নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন ওই শরণার্থী বাবা। খবর বিবিসির।
সিরিয়ার ওই শরণার্থী এখন স্পেনের একটি খেলাধুলার স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কাজ করবেন। ইউরোপে আসার আগে তিনি সিরিয়ায় একটি ফুটবল টিমের কোচ ছিলেন।
স্প্যানিশ একটি সংবাদ মাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওসামা আব্দুল মোহসেন বলেন, এখন আমার সন্তানের স্পেনে একটি চমৎকার ভবিষ্যৎ তৈরি হবে।
গত সপ্তাহেই হাঙ্গেরি-বর্ডার সীমান্তে পুলিশের তাড়া খেয়ে সন্তানকে কোলে নিয়ে দৌড়ানোর সময় হাঙ্গেরির একটি টেলিভিশনের একজন মহিলা চিত্রগ্রাহক তাকে পা দিয়ে লাথি মেরে ফেলে দেন। পরে ওই ভিডিও চিত্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
পেটরা লাজ্জলো নামের ওই সাংবাদিককে বরখাস্ত করে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ। পরে ওই সাংবাদিক তার এমন আচরণের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
মোহসেন জানান, ওই সাংবাদিক তাকে লাথি মারলে তিনি খুবই অবাক এবং ভীত হয়ে পড়েন। এরপর তার ছোট ছেলেটি প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে কেঁদেছে।
দীর্ঘ কষ্টকর যাত্রা শেষে সাতবছরের সন্তান যিয়াদকে নিয়ে সিরিয়া থেকে পালিয়ে তিনি ইউরোপ এসেছেন। এর আগেই অবশ্য তার আরেক ছেলে নৌকায় করে ইউরোপে পাড়ি জমায়।
ক্যানাফে ফুটবল স্কুলের পরিচালক মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল গালান জানান, এই পরিবারটি বাড়ি, খাবার, কাপড় এবং কোচের উপযোগী বেতন পাবেন। চলতি বছরে ইউরোপে শরণার্থীদের ঢল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইউ) দেশগুলো। শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি ইইউ।
এসআইএস/এমএস