৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পদক্ষেপ পর্যালোচনা করবে সর্বোচ্চ আদালত
চলতি মাসের ৫ তারিখে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বুধবার সর্বোচ্চ আদালত এক শুনানিতে জানিয়েছে যে, ৩৭০ অনুচ্ছেদের অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে।
এ বিষয়ে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের কাছে জবাবও চেয়েছে। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়।
বুধবার ওই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আগামী অক্টোবরে এই বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হবে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে অনেকগুলো আবেদন জমা পড়েছে। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতেই আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত সব আবেদন খতিয়ে দেখতে ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার শুনানি চলাকালীন সময় বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি এবং এক কাশ্মীরি শিক্ষার্থী কাশ্মীরে যাওয়ার আবেদন করেন। ওই শিক্ষার্থী তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান। ওই দু'জনকেই জম্মু ও কাশ্মীর সফরের অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বুধবার বিচারপতি এস এ বোবদে এবং বিচারপতি এস এ নাজিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি পাঁচ বিচারকের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠিয়েছে।
৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। এ বিষয়ে যে কোনো ধরণের প্রতিক্রিয়া এড়াতে ল্যান্ডফোন, মোবাইল এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং জনসমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
কাশ্মীরে ৫০ হাজারের বেশি অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতিসহ ৪০ জন মূলধারার রাজনৈতিক নেতা এখনও বন্দী রয়েছেন।
টিটিএন/এমকেএইচ