কাশ্মীর ইস্যুতে বিবেকের স্বচ্ছতায় ভারতীয় কর্মকর্তার পদত্যাগ
সম্প্রতি ভারতীয় সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে দেয়া হয়েছে। এতে করে বিশেষ মর্যাদা হারিয়েছে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর। চলতি মাসের শুরুতে কার্যকর মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন রয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতীয়দের। তবে এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের (আইএএস) এক কর্মকর্তা। কান্নান নামের ওই কর্মকর্তা জম্মু-কাশ্মীরে দমন-নিপীড়নের প্রতিবাদে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
নরেন্দ্র মোদি সরকার ভারতীয় সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেয়ার পর এই প্রথম কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগ করে প্রতিবাদ জানালেন।
এর আগে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন কান্নান। জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে তার ভাষ্য, ‘ভেবেছিলাম সিভিল সার্ভিসে থেকে মানুষের বক্তব্য তুলে ধরতে পারব। দেখলাম আমার কণ্ঠই রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমি স্বরাষ্ট্রসচিব বা অর্থসচিব নই। আমার পদত্যাগে পরিস্থিতির বদল হবে না। কিন্তু আমার বিবেক স্বচ্ছ।’
আইএএস অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিলেন কান্নান।
পদত্যাগের ঘোষণার পর কান্নানের এক সহকর্মী বলেছেন, ‘ও বলত, মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ার অর্থ জরুরি অবস্থা জারি হওয়া।’
মোদি সরকারের সঙ্গে আগেও বিরোধ হয়েছে কান্নানের। লোকসভা ভোটের সময়ে এক নেতা তাকে নির্দেশ দেয়ায় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন কান্নান।
তার এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কান্নানকে ‘দেশ-বিরোধী’ আখ্যায়িত করে টুইটারে সমালোচনা করছে এক পক্ষ। তবে এসব পাত্তা দিচ্ছেন না তিনি। তিনি বলেছেন, ‘দেশের স্বার্থে আমি দেশ-বিরোধী তকমা সহ্য করতে রাজি আছি।’
তবে কান্নানের পাশে দাঁড়িয়েছেন কেউ কেউ। সাবেক আইএএস অনিল স্বরূপ বলেছেন, ‘কান্নানের মতো অফিসারদের নিয়ে আমরা গর্বিত।’
এসআর/এমএস