ই-সিগারেট পানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম প্রাণহানি
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে এক যুবক শ্বাসযন্ত্রের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, ই-সিগারেট পানের কারণেই তার শ্বাসযন্ত্রে জটিল ওই রোগ বাসা বেঁধেছিল। ই-সিগারেটের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে এটাই প্রথম মৃত্যু বলে জানিয়েছে তারা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইলিনয় কর্তৃপক্ষ ওই যুবকের নাম-পরিচয় প্রকাশ না করলেও তার বয়স ১৭ থেকে ৩৮ বছরের মধ্যে ছিল বলে জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি ফুসফুসজনিত রোগে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের সঙ্গে ই-সিগারেট পানের সম্পর্ক আছে বলে জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
আটলান্টাভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ই-সিগারেট পানের কারণে প্রায় দুশ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এর কারণে দিন দিন মানুষ ফুসফুসে নানারকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড বলেন, ‘গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ই-সিগারেটের কারণে মারাত্মক ফুসফুস-সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার যে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে তাতে প্রথম একজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা বেদনাহত।’
সিডিসির-র ওই পরিচালক বলেন, ‘ই-সিগারেট উৎপাদনের সঙ্গে মারাত্মক স্বস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারটি আমাদের জানান দিচ্ছে এই মৃত্যু। ফলে মানবদেহে ভিন্ন ভিন্ন নানা উপাদান প্রবেশ করছে, যেগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানি।’
গতকাল শুক্রবার সিডিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ১৯৩ জন মারাত্মক ফুসফুসজনিত রোগে ভুগছেন। যারা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ই-সিগারেট পানের কারণে। সিডিসি আরও জানিয়েছে, এই ১৯৩ জনের মধ্যে ২২ জনই ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের।
তবে গত বুধবার সিডিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ই-সিগারেট পানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ১৫৩ জন মানুষ ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত, যা দুদিন পরে ৪৪ বেড়েছে। ক্রমাগত এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকলে তা সত্যিই উদ্বেগের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।
এসএ/এমএস