ফ্রান্সও চায় পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করুক ভারত
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহারের পর ভারতের পররাষ্ট্রনীতি মূলত কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর, এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান উদ্দেশ্য কাশ্মীর ইস্যুতে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে পাশে পাওয়া।
ত্রিদেশীয় সফরে ফ্রান্স, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফরের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার প্যারিসে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে প্রায় ৯০ মিনিটের বেশি সময় ধরে বৈঠক করেছেন তিনি।
পরে এক যৌথ বিবৃতি দেন এই দুই নেতা। ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি কাশ্মীর এবং কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে আমাকে বিস্তারিত জানিয়েছেন। আমি বলেছি, ভারত এবং পাকিস্তানকে আলোচনা করে সমাধান সূত্র বের করতে হবে। এখানে তৃতীয় পক্ষের কোনও জায়গা নেই।
তিনি বলেন, উপত্যকায় উত্তেজনা তৈরি করাও ঠিক হবে না। কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখা জরুরি। আমরা চাই, শান্তি এবং আলোচনা। আমি কয়েকদিনে মধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। তাকে জানাব, কাশ্মীর নিয়ে দু’পক্ষ আলোচনায় বসুক।
মোদি জানিয়েছেন, ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। তিনি জানান, আগামী মাসে ফ্রান্স প্রথম দফায় রাফায়েল যুদ্ধবিমান ভারতের হতে তুলে দেবে।
চলতি মাসের ২৫ ও ২৬ তারিখে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন মোদি। ওই সম্মেলনের ফাঁকে একাধিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তার। পররাষ্ট্র সূত্র জানিয়েছে, ওই বৈঠকগুলোকে কাজে লাগিয়ে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থান তুলে ধরবেন মোদি।
টিটিএন/এমএস