মালয়েশিয়ার ৭ প্রদেশে বক্তব্য রাখতে পারবেন না জাকির নায়েক
ভারত ছেড়ে মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছিলেন বিতর্কিত ধর্মীয় বক্তা জাকির নায়েক। সেখানে এতদিন স্থায়ী নাগরিক হিসেবেই বসবাস করছিলেন তিনি। কিন্তু এবার সে দেশেই চাপের মধ্যে রয়েছেন তিনি।
মালয়েশিয়া তার ওপর থেকে আরও একটি দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। বিতর্কিত এই ধর্ম প্রচারকের ওপর ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সোমবার মালয়েশিয়ার আরও একটি প্রদেশে তার ধর্মীয় সভা ও বক্তব্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশটির মোট সাত প্রদেশে কোনো ধর্মীয় বক্তব্য রাখতে পারবেন না জাকির নায়েক।
মালয়েশিয়া স্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার মেলাকা রাজ্যে জাকির নায়েকের ধর্মীয় বক্তব্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অ্যাডলি জাহারি জানান, এমন কোনো জিনিস চলতে দেওয়া যায় না যা রাজ্যের সম্প্রীতি নষ্ট করে। আমরা জাকির নায়েকের বক্তৃতার অনুমতি দিতে পারি না। তিনি কোনো সভাও করতে পারবেন না। এর আগে জোহর, সেলানগর, পেনাং, কেদাহ, পেরলিস এবং সারাওয়াকে জাকির নায়েকের বক্তৃতা নিষিদ্ধ করা হয়।
সোমবার বেলা ৩টার দিকে মালয়েশিয়া পুলিশের সদর দফতরে দেখা করার কথা রয়েছে জাকির নায়েকের। পেনাল কোড ৫০৪ ধারা অনুযায়ী, তার জবানবন্দি নেয়া হবে। সাম্প্রতিক সময়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ভারতীয় হিন্দু এবং চীনাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন জাকির নায়েক।
ওই অনুষ্ঠানে তিনি মালয়েশিয়ায় বসবাসরত চীনা বংশোদ্ভূত নাগরিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি বলেন যে, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের চেয়ে মালয়েশিয়ার সংখ্যালঘু হিন্দুরা ১০০ গুণ বেশি অধিকার ভোগ করছেন। তার এমন মন্তব্য ঘিরেই মালয়েশিয়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে তার স্থায়ী নাগরিকত্বও তুলে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
টিটিএন/পিআর