ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরামর্শ ট্রাম্পের
জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে কথা বলুক এমনটাই চায় যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে কাশ্মীর ইস্যুতে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরকে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার ঘটনায় মোদি সরকারের পদক্ষেপের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি বিষয়টি জাতিসংঘের কাছে পৌঁছালে জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকও করেছে নিরাপত্তা পরিষদ।
যদিও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি দাবি করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলাপচারিতা হয়েছে এবং কাশ্মীর-সংক্রান্ত বিষয়েও কথা হয়েছে। রেডিও পাকিস্তানের খবরে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী এবং সেখানকার আঞ্চলিক শান্তি বিপন্ন হওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে টেলিফোনে কথা বলার পাশাপাশি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইমরান খান আফগানিস্তান নিয়েও আলোচনা করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এক সংবাদ সম্মেলনে শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে চার সদস্যই পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে সমর্থন জানিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি পাকিস্তানের মিত্র দেশ চীনের অনুরোধেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই বৈঠক কেবল পাঁচটি স্থায়ী সদস্য এবং ১০ টি অস্থায়ী সদস্যের জন্য উন্মুক্ত ছিল এবং দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের করা একটি আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়।
নিরাপত্তা পরিষদ ১৯৬৫ সালে জম্মু ও কাশ্মীর-সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সর্বশেষ আলোচনা করেছিল। গত ৫ আগস্ট ভারত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে এবং রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এরপরেই পাকিস্তান নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করে এবং পাকিস্তান থেকে ভারতীয় হাই কমিশনারকে বহিষ্কার করা হয়। যদিও ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে যে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের এই পদক্ষেপ পুরোপুরিই একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এ বিষয়ে পাকিস্তানকে ‘বাস্তবতা স্বীকার করার’ পরামর্শও দেওয়া হয়।
টিটিএন/জেআইএম