কাশ্মীরে কিছু হলে ভয়াবহ জবাব দেয়া হবে : পাক সেনাবাহিনী
কাশ্মীরে কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করা হলে তার কড়া জবাব দেয়া হবে বলে ভারতকে সতর্ক করে দিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। শুক্রবার দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক জেনারেল আসিফ গফুর ভারতকে এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, কাশ্মীরে যদি কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি করা হয়, তাহলে তার জবাব পাক সেনাবাহিনী গত ২৭ ফেব্রুয়ারির চেয়েও শক্তিশালী উপায়ে দেবে।
ফেব্রুয়ারিতে সীমান্ত রেখা লঙ্ঘন করে ভারতের ভেতরে ঢুকে পাকিস্তান বিমানবাহিনী গোলাবর্ষণ করে। এছাড়া ভারতীয় যুদ্ধবিমান দুটি মিগ-২১ যুদ্ধবিমানে গুলি চালিয়ে ভূপাতিত ও একজন ভারতীয় পাইলটকে আটক করে। সেই ঘটনার কথা স্বরণ করে দিয়ে পাক এই সেনা জেনারেল নতুন করে হুমকি দিলেন চিরবৈরী এই প্রতিবেশীকে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় দেশটির কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে সিআরপিএফের অন্তত ৪০ জওয়ানের প্রাণহানি ঘটে। এ ঘটনার পর দুই দেশের বিমানবাহিনী আকাশসীমা লঙ্ঘন করে একে অপরের অবস্থানে হামলা চালায়। এতে ভারতীয় দুটি মিগ-২১ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও বিমানবাহিনীর এক পাইলটকে আটক করে পাক সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার রাতে একাধিক টুইটে পাক সেনাবাহিনীর প্রধান এই মুখপাত্র বলেন, দশকের পর দশক ধরে কাশ্মীরিদের সাহসী লড়াই হাজার হাজার সেনা দিয়ে দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। বর্তমান উদ্যোগও সফল হবে না তাদের।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিনরের কমান্ডার জেনারেল কানওয়াল জিৎ সিং ঢিলন বলেন, অধিকৃত কাশ্মীর উপত্যকায় শান্তি বিঘ্নকারীদের ওপর নজর রাখছে ভারত। উপত্যকায় পাক সেনাবাহিনী ও পাকিস্তান সব সময় শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্টের পাঁয়তারা করছে বলেও এক টুইট বার্তায় অভিযোগ করেন তিনি। তার এই অভিযোগকে চিরাচরিত মিথ্যাচার বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন আসিফ গফুর।
অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে অনিশ্চিত পরিস্থিতি ও ভারতীয় নৃশংসতা থেকে বিশ্বের নজর অন্যদিকে সরিয়ে নিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আসিফ গফুর।
তিনি বলেন, ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে গণমাধ্যম ঢুকতে পারছে না। কিন্তু আজাদ জম্মু-কাশ্মীর বিদেশি গণমাধ্যমের জন্য উন্মুক্ত। পছন্দ অনুযায়ী আজাদ কাশ্মীরের যেকোনো জায়গায় ভারত এবং পাকিস্তানে নিয়োজিত জাতিসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক গ্রুপের সদস্যরা যেতে পারেন।
সূত্র : ডন, পাকিস্তান ট্যুডে।
এসআইএস/এমএস