কাশ্মীরে সংঘর্ষ, হতাহত ৭
সোমবার কাশ্মীরের ওপর থেকে ভারত বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার পর থেকেই থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে সেখানে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর কাশ্মীর কার্যত বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।
বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। এর মধ্যেই শ্রীনগরে কারফিউয়ের মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৬ জন।
সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের রাজনীতিবিদ, উপদেষ্টা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাসহ এখন পর্যন্ত চার শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো কাশ্মীরই যেন এক কারাগারে পরিণত হয়েছে। সেখানকার বিভিন্ন হোটেল, গেস্ট হাউস, সরকারি এবং বেসরকারি ভবনগুলোকে অস্থায়ী কারাগার বানানো হয়েছে।
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে একজনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ। একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, শ্রীনগরে পুলিশের গুলিতে আরও ছয়জন আহত হয়েছে। তাদের শ্রীনগরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্রীনগর এবং কাশ্মীরের উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে। রাস্তায় সর্বত্র হাজার হাজার সেনা, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী টহল দিচ্ছে। সব রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সর্বত্র কারফিউ জারি করা হয়েছে। কাউকে ঘর থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না।
ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের আগে রোববার সন্ধ্যা থেকেই কাশ্মীরে টেলিফোন, মোবাইল এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এখনও সেখানকার কেউ কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
এদিকে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, কাশ্মীরের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে ভারত। একই সঙ্গে কাশ্মীরে ভারতের জাতিগত নিধনের আশঙ্কাও ব্যক্ত করেছেন ইমরান খান।
দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীর নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। প্রায় সাত দশক ধরে ৩৭০ অনুচ্ছেদের আওতায় বিশেষ মর্যাদা পেয়ে আসছিল কাশ্মীর। কিন্তু গত সোমবার হঠাৎ করেই ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণা দেয় ভারত।
টিটিএন/এমকেএইচ