পাকিস্তানে যোগ না দেয়াটা ভুল ছিল : মেহবুবা মুফতি
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা-সংক্রান্ত ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা ভারত সরকারের নেয়া এ সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্রের কালো দিন বলে মন্তব্য করেছেন।
ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল ইন্ডিয়া ট্যুডের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৫ আগস্ট গণতন্ত্রের জন্য একটি কালো দিবস। এই দিন কাশ্মীরের জনগণকে দেয়া অধিকার পার্লামেন্টের চোরের দল কেড়ে নিয়েছে।
মেহবুবা মুফতি বলেন, ভারত এত বড় একটি দেশ, তারপরও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ছোট একটি রাজ্যের ভয়ে ভীত। ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে কেন এ সিদ্ধান্ত নেয়া হলো?
কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে ভারত প্রতারণা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সরকার এবং ঐক্যবদ্ধ ভারতে বিশ্বাস করি; কিন্তু তারা আমাদের এ বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। জনগণ এখনো চিন্তা করছে যে, তারা পাকিস্তানে যোগ না দিয়ে ভুল করেছেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীরি জনগণকে দমন করার জন্য পুরো দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে বিজেপি সরকার।
Today marks the darkest day in Indian democracy. Decision of J&K leadership to reject 2 nation theory in 1947 & align with India has backfired. Unilateral decision of GOI to scrap Article 370 is illegal & unconstitutional which will make India an occupational force in J&K.
— Mehbooba Mufti (@MehboobaMufti) August 5, 2019
সোমবার ভারতের রাজ্যসভায় দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা-সংক্রান্ত ধারা ৩৫-এ বাতিলের প্রস্তাব আনেন। বিরোধী দলের সদস্যদের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও প্রস্তাবটি পাস হয়। এ প্রস্তাব পাসের ফলে জম্মু-কাশ্মীর ভেঙে কেন্দ্রীয়ভাবে শাসিত দুটি অঞ্চল হিসেবে পরিচালিত হবে। এর মধ্যে লাদাখ কেন্দ্রশাসিত তৃতীয় একটি এলাকা হিসেবে বিবেচিত হবে।
৩৭০ অনুচ্ছেদের কারণে জম্মু ও কাশ্মীর অন্য যেকোনো ভারতীয় রাজ্যের চেয়ে বেশি স্বায়ত্তশাসন ভোগ করতো। এ ধারা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এর ভিত্তিতেই কাশ্মীর রাজ্য ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অনুচ্ছেদ ৩৭০ ভারতীয় রাজ্য জম্মু-কাশ্মীরকে নিজেদের সংবিধান ও একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দেয়। এছাড়া পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বাদে অন্যান্য সব ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও দেয়।
এসআইএস/জেআইএম