ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ফের এক শ্বেতাঙ্গ তরুণের বন্দুকের গুলিতে প্রাণ গেল ২০ জনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:৪৯ এএম, ০৪ আগস্ট ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে এল পাসোর ওয়ালমার্ট সুপার সেন্টারে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ২৬ জন। মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বন্দুক হামলাকারী ২১ বছর বয়সী ওই তরুণ শ্বেতাঙ্গ।

চলতি বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডে ভয়াবহ একটি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। সেই হামলাও চালিয়েছিলেন শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী এক তরুণ। দুটি মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি করে ৫০ জনকে হত্যা করে সে। হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারান্ট সেই হত্যার ঘটনা ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারও করে।

টেক্সাস পুলিশ বলছে, আটককৃত ওই ব্যক্তি একাই এই গোটা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আটককৃত ওই শ্বেতাঙ্গ তরুণের নাম প্যাটট্রিক ক্রুসিয়াস। তিনি ডালাসের বাসিন্দা।

ফ্রান্সভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে হামলাকারী ওই শ্বেতাঙ্গ তরুণের ছবি প্রকাশে করেছে। দেখা যাচ্ছে, মাথায় হেডফোন পরে অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে নির্বিচারে গুলি করে যাচ্ছেন। যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।

Texas-2

আর এই তথ্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের সরকারি কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রীয় তথ্যসূত্র সিএনএনকে বলছে, হামলার আগে হামলাকারী ক্রুসিয়াসের একটি অনলাইনে পোস্ট পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সেখান থেকে হয়তো কিছু সূত্র চিহ্নিত করা যেতে পারে।

এল পাসো পুলিশ বিভাগের সার্জেন্ট রবার্ট গোমেজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সন্দেহভাজন বন্দুক হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। সে এখন পুলিশের হেফাজতে আছে। তার বয়স বিশ বছরের কাছাকাছি এবং সে একজন শ্বেতাঙ্গ।

টেক্সাসের ম্যাকিনি জেলার প্রেসিডেন্ট ডা. নিল ম্যাটকিন এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, স্থানীয় কলিন কলেজ অব ম্যাকিনিতে বন্দুক হামলাকারী প্যাট্রিক ক্রুসিয়াস ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ‌‘আজ (শনিবার) টেক্সাসের এল পাসোতে বন্দুক হামলার ঘটনা শুধুমাত্র ট্রাজিক নয় এটা হলো কাপুরুষতার একটা কাজ। আমি দেশের সবার সঙ্গে আজকের এই বিদ্বেষমূলক ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। নিরীহ মানুষকে মেরে ফেলার বৈধতা দেয়ার পেছনে কোনো কারণ থাকতে পারে না।’

এসএ/পিআর

আরও পড়ুন