ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে রুশ-মার্কিন পারমাণবিক চুক্তির অবসান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:৩২ পিএম, ০২ আগস্ট ২০১৯

ফের পারমাণবিক অস্ত্রের নগ্ন প্রতিযোগিতা দেখতে যাচ্ছে বিশ্ব। কেননা আজ শুক্রবার রাশিয়ার সঙ্গে করা পারমাণবিক অস্ত্র বিষয়ক ঐতিহাসিক এক চুক্তি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ দুটির মধ্যে ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত মধ্যম পাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র বিষয়ক এই চুক্তির মাধ্যমে স্নায়ুযুদ্ধের অবসান হয়েছিল।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে চুক্তিটি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার খবর জানানো হয়েছে। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা মিখাইল গর্বাচেভ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান দুই দেশের পক্ষে ইন্টারমেডিয়েট রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিটি (আইএনএফ) নামের এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।

আইএনএফ চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের ওপর ৫০০ থেকে ৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম মধ্যম পাল্লার পারমাণবিক অস্ত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত ছিল। কিন্তু এই বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো উভয়ই রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে যে, তারা নতুন ধরনের ক্রুস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। তবে মস্কো এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে বরাবরই।

southeast

রাশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব ৫ হাজার কিলোমিটারের কম

আরও পড়ুন>> মশাবাহিত নতুন রোগ ট্রিপল-ই, যুক্তরাষ্ট্রে সতর্কতা

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তাদের হাতে প্রমাণ আছে রাশিয়া বেশ কিছু ৯এম৭২৯ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। যা ন্যাটোর কাছে এসএসসি-৮ নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগের পর ওয়াশিংটনের ন্যাটো মিত্ররাও মার্কিন এই দাবির প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন আছে বলে জানায়।

INF-2

শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই চুক্তির অবসানের জন্য কেবলমাত্র রাশিয়াই দায়ী। আমাদের ন্যাটো মিত্রদের পূর্ণ সমর্থনসহ যুক্তরাষ্ট্র এটা স্পষ্ট জানতে পেরেছে যে, রাশিয়া চুক্তির লঙ্ঘন করেছে এবং চুক্তিতে বেধে দেয়া শর্ত তারা নিয়মিত ভঙ্গ করে আসছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাক্ষরিত আইএনএফ চুক্তিটির আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মৃত’ হওয়ার বিষয়টি এক বিবৃতির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা রিয়া নভোতসি। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এর আগে এ নিয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘এটা হলে পরমাণু যুদ্ধ আটকাতে অমূল্য যে উদ্যোগটি নেয়া হয়েছিল তা শেষ হয়ে যাবে।’

গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, রাশিয়া যদি চুক্তি মেনে না চলে তাহলে আগামী ২ আগস্ট আইএনএফ থেকে নিজের দেশকে প্রত্যাহার করে নেবেন তিনি। ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পরপরই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও চুক্তিটিতে তার দেশের মেনে চলা সব শর্ত বাতিল করে দেন।

এসএ/পিআর

আরও পড়ুন