প্রিয়ার জন্য এবার নামল বিজেপি
বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে বৃহস্পতিবার কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। এ সময় কলকাতা পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন দলটির উদ্বাস্তু সেলের আহ্বায়ক মোহিত রায়।
মোহিত বলেন, ‘১৬ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ‘নিখোঁজ’ হওয়ার কথা বলেছিলেন দেশটির নাগরিক প্রিয়া সাহা। সেই ঘটনার পর থেকেই প্রিয়ার ওপর চাপ আসছে। তারই প্রতিবাদে হাইকমিশনে বিক্ষোভ করে দূতাবাসে স্মারকলিপি দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বিক্ষোভের সময় পুলিশ আমাদের ৮৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। পরে অবশই তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। বিক্ষোভের বিষয়ে পুলিশকে আমরা আগে থেকেই জানিয়েছিলাম। তবে তারা আমাদের অনুমতি দেয়নি।’
রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরীর বলেন, ‘প্রায় ২০০ নেতাকর্মী সমর্থক জড়ো হন বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে। জড়ো হওয়ার পরপরই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়াতেই এদিন বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন অফিসে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নেয় বিজেপি। এদিন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নেত্রী প্রিয়া সাহার বিষয়টিও উঠে আসে
উল্লেখ্য, ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।
প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।’
এরপর তিনি বলেন, ‘এখন সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।’
ভিডিওতে দেখা গেছে, এক পর্যায়ে ট্রাম্প নিজেই সহানুভূতির সঙ্গে এই নারীর সঙ্গে হাত মেলান। প্রিয়া সাহা আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যকার কথোপকথন প্রকাশ পেলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এমআরএম/এমএস