ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

কাশ্মিরের বিশেষ সুবিধা বাতিলের আশঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:২৫ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৯

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’র (পিডিপি) নেত্রী মেহবুবা মুফতি দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ৩৫-এ ধারা নিয়ে গরমিল করা হলে; তা রাজ্যে আগুন জ্বালানোর মতো হবে।

রোববার পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’র (পিডিপি) প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে এক অনুষ্ঠানে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়ার সময় ওই মন্তব্য করেন। মেহবুবা দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ৩৫-এ ধারা রক্ষা করতে লড়াইয়ের জন্য তৈরি থাকুন। ৩৫-এ ধারার ভিত্তিতে রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দারা কিছু বিশেষ অধিকার ভোগ করেন।

মেহবুবা বলেন, আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে বলতে চাই, ৩৫-এ ধারা গরমিল করার চেষ্টা বারুদে আগুন ধরানোর মতো হবে। যদি কোনো হাত ৩৫-এ ধারা স্পর্শ করার চেষ্টা করে, তবে কেবল সেই হাতই নয়; পুরো শরীরও পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। রাজ্যের বিশেষ মর্যাদায় কোনও প্রকারের হস্তক্ষেপ রোধ করতে তারা শেষ নিঃশ্বাস অবধি লড়াই করবেন বলেও মেহবুবা মুফতি মন্তব্য করেন।

জম্মু-কাশ্মিরের বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা বাতিলের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস চাপ সৃষ্টি করে আসছে। তাদের বক্তব্য, দ্বিতীয়বার আরও বড় জনমত নিয়ে ক্ষমতায় আসা মোদি সরকার এখনই এ কাজ না করলে পরে সমস্যা হবে। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার এ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে চাচ্ছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে।

জম্মু-কাশ্মিরের বাসিন্দাদের বিশেষ মর্যাদা সম্বলিত সংবিধানের ৩৫-এ ধারা শুরু থেকেই বাতিলের পক্ষে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। গত কিছুদিন ধরে কাশ্মির উপত্যকায় জল্পনা ছড়িয়েছে আগামী অগস্টেই ওই ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সরকার।

গত শুক্রবার গভীর রাতে উপত্যকায় অতিরিক্ত আরও দশ হাজার আধাসেনা জওয়ান পাঠানোর সিদ্ধান্ত সেই জল্পনাকে উস্কে দিয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে দিল্লির শাসক শিবির নিশ্চুপ রয়েছে। ৩৫-এ ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা ঝুলে রয়েছে।

রাজ্যটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ওমর আব্দুল্লাহর আশঙ্কা, স্বাধীনতা দিবসের (১৫ আগস্ট) আগেই কেন্দ্রীয় সরকার এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তার প্রশ্ন, ‘বিষয়টি এখনও আদালতের বিচারাধীন। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকার এত তাড়াহুড়ো করছে কেন, বোঝা যাচ্ছে না।’

ওমরের অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘরোয়াভাবে কাশ্মিরিদের খাবার, গ্যাস, কেরোসিন তেল সংগ্রহ করে রাখতে বলা হচ্ছে। কারণ, কিছু দিনের মধ্যেই উপত্যকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু হতে পারে। ওমরের আশঙ্কা, সরকার সম্ভবত ৩৫-এ ধারা খারিজ করার বিষয়ে ভাবছে। কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত নিলে কাশ্মির ফের অশান্ত হয়ে উঠবে। পার্সট্যুডে।

এসআইএস/জেআইএম

আরও পড়ুন