কাশ্মীর নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যে ভারতের পার্লামেন্টে তোলপাড়
কাশ্মির ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের পার্লামেন্ট লোকসভা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাশ্মির নিয়ে একটি মন্তব্যকে ঘিরে লোকসভায় এই তোলপাড় শুরু হয়েছে বুধবার। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যাখ্যা দাবি করে ওয়াক আউট করেছেন বিরোধী দল কংগ্রেসের সংসদ সদস্যরা।
ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সোমবার কাশ্মির নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। আমাদের মধ্যে কাশ্মির নিয়ে কথা হয়। তিনি (মোদি) বলছিলেন, আপনি কোনো মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে চান কিনা। আমি জানতে চেয়েছিলাম, কোথায়? মোদি বললেন, কাশ্মির। কারণ ইস্যুটি বহু বছর ধরে জিইয়ে রয়েছে।’
ট্রাম্পের ওই মন্তব্য নিয়ে বুধবার লোকসভায় ব্যাপক অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি করেন বিরোধী দলীয় সাংসদরা। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ১১টার দিকে কংগ্রেস দলীয় সাংসদরা তাদের আসন ছেড়ে স্পিকারের সামনে চলে যান। ট্রাম্পের কাশ্মির ইস্যুতে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মোদির ব্যাখ্যা দাবি করেন তারা।
আরও পড়ুন : বিশেষ বন্ধুর সঙ্গে মোদির খুনসুঁটি
এ সময় পার্লামেন্ট উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পার্লামেন্টে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস সাংসদদের প্রশ্নের জবাবে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, নিজেদের মর্যাদাবোধের সঙ্গে কোনো রকম সমঝোতা করতে রাজি নয় ভারত। একটি বিষয় সাফ জানিয়ে দিতে চাই, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রাম্পের এ ধরনের কোনো কথা হয়নি। আবার বলছি, প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পকে ওই ধরনের কোনো অনুরোধ করেননি।
রাজনাথ সিং বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ নিয়ে যা বলেছেন, তার ওপরে কোনো কথা হয় না। ট্রাম্প ও মোদি যখন জাপানের ওসাকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে সাক্ষাৎ করেন; তখন সেখানে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর।
প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পকে কাশ্মির নিয়ে কোনো অনুরোধ করেননি বলে জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। আমার মনে হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই মন্তব্যই যথেষ্ঠ। কাশ্মির নিয়ে আলোচনা সিমলা চুক্তির ওপর ভিত্তি করেই হবে। এ নিয়ে কারো মধ্যস্থতা করার প্রশ্ন ওঠে না। আর কাশ্মির নিয়ে আলোচনা হলে পাক অধিকৃত কাশ্মির নিয়েও কথা হবে।
কাশ্মির ইস্যুতে পার্লামেন্টে এমন উত্তেজনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি দাবি করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের এই দাবিকে সমর্থন দিয়েছে সমাজবাদী পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস ও বেশ কয়েকটি বাম দল। জিনিউজ।
এসআইএস/এমকেএইচ