রোহিঙ্গা, কোথায় সেটা? : ট্রাম্প
তিনি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশের প্রেসিডেন্ট। অথচ অনেক কিছু সম্পর্কেই তিনি জানেন না। আর এটা নিয়েই হই বেধে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের বক্তব্যের জন্যই সবচেয়ে বেশ সমালোচিত। হুট করেই বেফাঁস কথা বলে ফেলাটা তার জন্য নতুন কিছু নয়।
কিন্তু সারা দুনিয়া যখন রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে তখন এ বিষয়ে ট্রাম্প কিছুই জানেন না তা কি করে হয়? এমন কথা অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবেন না। কিন্তু বাস্তবে এমনটাই হয়েছে।
রোহিঙ্গারা কোথায় শরণার্থী হিসেবে রয়েছেন? তাদের সমস্যা কী নিয়ে? কোনও কিছুই যেন জানেন না এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর তাই তো ওভাল অফিসে এক রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সবার সামনেই প্রশ্ন করে বসলেন, ‘রোহিঙ্গা! কোথায় সেটা?’
ধর্মের নামে অত্যাচারিত হয়েছেন এমন বিভিন্ন দেশের মানুষদের নিয়ে তৈরি একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বুধবার নিজের ওভাল অফিসে দেখা করেন ট্রাম্প। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইরাকে ইয়াজিদি নারীদের হয়ে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই করা নোবেলজয়ী নাদিয়া মুরাদ। এছাড়াও ছিলেন বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরের এক রোহিঙ্গা মুসলিমও। ওই রোহিঙ্গা ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই এই কাণ্ড ঘটান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ওই ব্যক্তি ট্রাম্পকে জানান, দু’বছর আগে মিয়ানমার সেনাদের অত্যাচারে নিজের দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে রয়েছেন বাংলাদেশের একটি শরণার্থী শিবিরে। কিন্তু তারা দেশে ফিরতে চান। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
এরপর ট্রাম্প বলে ফেলেন, ‘এটা আসলে কোথায়?’ এরপরই তাকে জানানো হয়, বাংলাদেশ মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশ।’ তারপরই হয়ত বুঝতে পারেন ট্রাম্প।
তবে ওই সভায় আরও একটি ভুল করেন বসেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। নাদিয়া মুরাদকে সরাসরি প্রশ্ন করে বসেন, ‘আপনি কেন নোবেল পেয়েছেন?’ যদিও নাদিয়া এরপর নিজের লড়াইয়ের কথা মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে তুলে ধরেন, পাশাপাশি ইয়াজিদি পরিবারদের জন্য কিছু করার আবেদনও জানান তিনি।
টিটিএন/এমকেএইচ