নোবেলজয়ী নাদিয়াকে ট্রাম্পের প্রশ্ন, কি জন্য পুরস্কার পেয়েছিলেন?
যৌন সহিংসতা ও হয়রানির ব্যাপারে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা তৈরির আন্দোলন করে ২০১৮ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ইরাকে জঙ্গিদের হাতে ধর্ষণের শিকার ইয়াজিদি নারী নাদিয়া মুরাদ। জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হাতে উত্তর ইরাকের ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের এই তরুণী তিন মাস জিম্মি ছিলেন।
এই সময় আইএস জঙ্গিরা তাকে ব্যবহার করেছে যৌনদাসী হিসেবে। ভয়ংকর সেই সময়ে চোখের সামনে আইএস জঙ্গিরা তার ছয় ভাই ও মাকে খুন করে। দুঃসহ সেই স্মৃতি এখনো ভুলতে পারেন না তিনি।
এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়লেন ইয়াজিদি এই তরুণী। ইরাকের ইয়াজিদিদের সাহায্য করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে আবেদন করেছিলেন নোবেলজয়ী নাদিয়া মুরাদ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তিনি বোঝান কীভাবে আইএস জঙ্গিরা ইয়াজিদিদের খুন করছে ও নারীদের যৌন দাসী বানিয়েছে।
আরও পড়ুন : আইএসের যৌনদাসী থেকে শান্তির নোবেলজয়ী নাদিয়া
২০১৪ সালে নাদিয়া ও বেশ কয়েকজন ইয়াজিদি নারী আইএসের যৌন ডেরা থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্বকে জানান কীভাবে নারীদের ওপর যৌন সহিংসতা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। ইয়াজিদিদের অধিকার ও স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার লড়াই এখনো করছেন তিনি।
ট্রাম্পকে নাদিয়া বলেন, তার মা ও ছয় ভাইকে খুন করেছে আইএস জঙ্গিরা। কমপক্ষে ৩ হাজার ইয়াজিদি এখনও নিখোঁজ। এসব শুনে ট্রাম্পের পাল্টা প্রশ্ন, আপনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন? খুব ভালো। কিন্তু কেন আপনাকে নোবেল দিয়েছে? ট্রাম্পের এমন বিব্রতকর প্রশ্ন শুনে ফের নিজের কথা বলতে শুরু করেন নাদিয়া।
হোয়াইট হাউসে ওই সাক্ষাৎকারে নাদিয়া ট্রাম্পকে বলেন, এটা কোনো বিশেষ একটি পরিবারের বিষয় নয়। পুরো ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের অস্তিত্বের প্রশ্ন। এসব শুনে ট্রাম্প প্রশ্ন করেন, আইএস তো নেই। তাহলে কুর্দিরা কিছু করছে? ওই সব এলাকা আমি ভালো করে জানি।
এসআইএস/এমকেএইচ