মৃত হাতির মাংসে বনভোজন!
মৃত হাতির মাংসে বনভোজন আয়োজন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ভারতের মিজোরামের একটি গ্রামের বাসিন্দারা। প্রাণহীন একটি হাতির মাংস কেটে ভূরিভোজের আয়োজন করেন তারা। এ ঘটনার বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ভারতীয় একটি দৈনিক বলছে, সম্প্রতি পশ্চিম মিজোরামের মানিত জেলার কানহমুন জঙ্গলে লক্ষ্মী নামে ৪৭ বছর বয়সী একটি কুনকি হাতির মৃত্যু হয়।
মৃত হাতির দেহ টুকরো টুকরো করে গ্রামের মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেয়া হয়। সেই মাংসে গ্রামে চলে বনভোজন। প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাতির মাংসে বনভোজনের ছবি ভাইরাল হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
আরও পড়ুন : তালাক চাওয়ায় স্ত্রীকে বাথটাবে চুবিয়ে হত্যা
এ ঘটনায় রাজ্যের বন দফতর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ওয়াইল্ডলাইফ রেসকিউ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার নামে বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। সেন্টারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সুপর্ণা গঙ্গোপাধ্যায় এবং প্রজেক্ট এলিফ্যান্টের প্রধান নোয়াল থমাস যৌথভাবে অভিযোগটি দাখিল করেছেন।
কুনকি হাতির দুরবস্থা নিয়ে ২০১৪ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন সুপর্ণা গঙ্গোপাধ্যায়। তার বক্তব্য ছিল, এই হাতিদের মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রমে বাধ্য করা হচ্ছে। যে কারণে তাদের মৃত্যু হচ্ছে অঘোরে। ৪৭ বছর বয়সী একটি কুনকি হাতি লক্ষ্মীর মৃত্যু মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে হয়েছে বলে দাবি সুপর্ণার।
এসআইএস/এমকেএইচ