হাসপাতাল থেকে হারিয়ে গেল রোগীর আঙুল
বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় দুর্ঘটনায় হাতের একটি আঙুল কাটা পড়ে কলকাতার হাওড়ার বাসিন্দা নীলোৎপল বিশ্বাসের। গুরুতর জখম অবস্থায় আঙুলটি নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু অস্ত্রোপচারের সময় সেই আঙুল খুঁজে পাননি চিকিৎসকরা। আঙুল হারিয়ে ফেলার দায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন নীলোৎপল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার ভারত-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমিফাইনাল ম্যাচে চলছিল। ঠিক এ সময় শিবপুরের বিএ কলেজের সামনে দুর্ঘটনায় জখম হন নীলোৎপল বিশ্বাস। এতে তার হাতের একটি আঙুল কেটে যায়। কাটা আঙুলটি নিয়ে দ্রুত তাকে একবালপুরের সিএমআরআই (দ্য কলকাতা মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনরা। চিকিৎসকরা তাকে জরুরি চিকিৎসা দেন। কিন্তু এই মুহূর্তে আঙুলটি হাতের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে না জানিয়ে তা হাসপাতালে সংরক্ষণ করে রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অস্ত্রোপচার করে ওই আঙুলটি হাতে জোড়া লাগানোর আশ্বাস দেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের কথামতো গতকাল সকালে নির্ধারিত সময়ে নীলোৎপলের স্ত্রী হাসপাতালে পৌঁছান।
তিনি দেখেন, অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু সাড়ে ৯টা বেজে গেলেও অস্ত্রোপচার শুরু হয় না। এ অবস্থায় হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন নীলোৎপলের স্ত্রী। কিন্তু সদুত্তর পান না তিনি। এক সময় আচমকা কানাঘুষোয় শুনতে পান, তার স্বামীর কাটা আঙুলটি আঙুল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বেশ কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আঙুল হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে।
নীলোৎপলের স্ত্রীর অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় দেখেন, চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীসহ প্রায় সবাই বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল দেখতে ব্যস্ত। গাফিলতির কারণেই নীলোৎপলের আঙুল হারিয়ে গেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
এমএসএইচ/এমকেএইচ