ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

বিজেপি বিধায়কের মেয়ের বিস্ফোরক ভিডিও, খুন করতে চান বাবা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:১০ এএম, ১২ জুলাই ২০১৯

ভারতের উত্তর প্রদেশের বরেলীয় বিজেপি বিধায়ক রাজেশ মিশ্রের মেয়ে সাক্ষী মিশ্র (২৩)। নিজের বাবার বিরুদ্ধে তার অভিযোগ, দলিত পরিবারের ছেলেকে বিয়ে করায় তাকে ও তার স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ জন্য মাস্তান ভাড়া করেছেন রাজেশ মিশ্র।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে এমনই অভিযোগ করেছেন সাক্ষী মিশ্র। তার অভিযোগ, বাবার ভাড়াটে মাস্তানদের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে স্বামীসহ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। এভাবে কতদিন আর পালিয়ে বাঁচা যায়? তাই এবার ভিডিও বার্তায় নিজের বাবাকে সাবধান করলেন। সেই সঙ্গে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছেন সাক্ষী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবারের অমতে নিজের পছন্দের অজিতেশ কুমার (অভি) নামে একজনকে বিয়ে করেছেন সাক্ষী মিশ্র। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) তাদের বিয়ে হয়। অজিতেশ দলিত পরিবারের ছেলে। ঝামেলা শুরু সেখানেই। পাত্র দলিত হওয়ায় সাক্ষীর পরিবার বিয়েটা মানছে না। এরপরই বাবা রাজেশ মিশ্র (পাপ্পু ভারতৌল) এবং ভাই ভিকি ভারতৌল তাদের খুনের পরিকল্পনা করেছেন বলে সাক্ষীর অভিযোগ।

ওই ভিডিওতে সাক্ষী মিশ্র বলেন, ‘সম্মানীয় বিধায়ক পাপ্পু ভারতৌলজি (রাজেশ মিশ্রের ডাক নাম) এবং ভিকি ভারতৌলজি, দয়া করে এবার মেনে নিন, নিজেরা বাঁচুন এবং আমাদের শান্তিতে বাঁচতে দিন। আমি সত্যিই বিয়ে করেছি, ফ্যাশনের জন্য সিঁদুরটা পরিনি। বাবা আপনি যে রাজীব এবং রানার মতো নিজের কুকুর লাগিয়ে রেখেছেন আমাদের পিছনে, ওদের বলে দিন, আমার মাথার উপর থেকে যদি জল সরে যায় তাহলে ওদের পুরো পরিবার জেলে যাবে। আমরা পালিয়ে পালিয়ে বিরক্ত হয়ে পড়েছি। আমাদের প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভির আত্মীয়দের বিরক্ত করা বন্ধ করে দিন। ওরা কিছু করেননি। যা কিছু করেছি আমি আর অভি করেছি। আমি খুশি থাকতে চাই, মুক্তি পেতে চাই... অভি আর অভির পরিবার মানুষই, জানোয়ার নয়। আমি ওদের সঙ্গে খুশিতে থাকব। তোমরাও শান্তিতে থাকো, রাজনীতি করো। ভবিষ্যতে যদি আমার, অভি আর অভির পরিবারের কিছু ক্ষতি হয়, তার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী হবে বাবা এবং রাজীব-রানা।’

ভিডিওতে সাক্ষীর স্বামী অভি কোনো কথা বলতে দেখা যায়নি। এদিকে মেয়ের ভিডিও প্রসঙ্গে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি বরেলীর বিজেপি বিধায়ক রাজেশ মিশ্র।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

এমএসএইচ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন