পাপুয়া নিউগিনিতে জাতিগত সংঘাতে নিহত ২৪
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনিতে জাতিগত সহিংসতায় ১৬ নারী এবং শিশুসহ মোট ২৪ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির হেলা প্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে দেশটির ভয়াবহ এই সহিংসতায় নিহতদের মধ্যে কয়েকজন অন্তঃসত্ত্বা নারীও রয়েছে।
বিবিসি অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ২৪ জনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেমস ম্যারাপে বলেছেন, তার জীবনের ‘সবচেয়ে দুঃখের’ দিন আজ।
পাপুয়া নিউগিনিতে ভয়াবহ এই জাতিগত সহিংসতার ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোররাতে। পার্বত্য অঞ্চলীয় প্রদেশ হেলার এক নৃগোষ্ঠীর গ্রামে অপর নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা হামলা চালালে এমন হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে ওই এলাকায় তিনি এর আগেই পুলিশ মোতায়েনের জন্য বলেছিলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, গত বিশ বছর ধরে পাপুয়া নিউগিনিতে চলা জাতিগত সংঘাতের মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ। তবে এবারের হামলার কারণ কি তা এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেনি তারা।
হেলা প্রদেশের গভর্নর ফিলিপ উনদিয়ালু ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এটা খুবই দুঃখনজনক একটা ঘটনা। তিনি ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ড দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলা জাতিগত সংঘাতের ফল। এটা আগের আরেকটি হামলার প্রতিশোধ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় গণমাধ্যম ইএমটিভি জানিয়েছে, তারি-পোরি জেলার ক্ষুদ্র একটি পল্লিতে পৃথক দুটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববারের প্রথম হামলায় চার পুরুষ ও তিন নারীসহ সাত জন নিহত হয়। সোমবার ভোররাতে অপর হামলায় ১৬ জন নারী ও একটি শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত নারীদের মধ্যে দুই জন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
এসএ/পিআর