ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞার হুমকি
ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। মাত্র একদিন আগেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধের মাত্রা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির এমন ঘোষণার পরেই তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিল যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘন করে ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের মাত্রা আরও সমৃদ্ধ করছে। এ বিষয়ে এক টুইট বার্তায় পম্পেও বলেন, ইরানের সাম্প্রতিক ইউরেনিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধির ঘোষণা বিশ্ব থেকে তাদের আরও বিচ্ছিন্ন করে দেবে এবং তাদের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
ছয় বিশ্ব শক্তির দেশের সঙ্গে ইরানের ওই পরমাণু চুক্তি থেকে গত বছরই বেরিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার এক বছর পূর্তিতে নিষেধাজ্ঞাগুলো এড়ানোর উপায় বের করতে চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ৬০ দিনের সময় বেধে দিয়েছিল ইরান। কিন্তু ওই সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি ইউরোপীয় দেশগুলো। এর পরেই নিজেদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধের মাত্রা বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় ইরান।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে আব্বাস আরাকচি বলেন, আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশের বেশি বাড়ানো হবে। ইরানের বুশেহর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি সরবরাহের জন্যই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধের মাত্রা বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে ইরানের এক কর্মকর্তা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৫ শতাংশে উন্নীত করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন। পরমাণু অস্ত্র বানাতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৯০ শতাংশ বা তার বেশি হতে হয়।
ইরান গত চার বছর ধরে পরমাণু সমঝোতা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করলেও ২০১৮ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে অন্যায়ভাবে বেরিয়ে যায়। এরপর ইউরোপ ইরানকে এ সমঝোতা বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলেও তা পালনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই একের পর এক ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চলেছে। এক ঘোষণায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেন, তার দেশ এখনো যে কোনো সময় আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে এবং ইউরোপীয়রা তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করলে ইরানও আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।
টিটিএন/এমকেএইচ