ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

এবার ২৪ জনকে ‘গো মাতা কি জয়’ বলতে বাধ্য করা হলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৫০ পিএম, ০৮ জুলাই ২০১৯

ভারতে গরু পাচার বা গরুর মাংস বহনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একের পর এক হত্যা, নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি গরু পাচারকারী সন্দেহে ২৪ জনকে রাস্তায় ফেলে নীলডাউন করতে বাধ্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের ‘গো মাতা কি জয়’ বলানোর অভিযোগও উঠেছে।

রোববার এই ঘটনা ঘটেছে মধ্য প্রদেশে। সেখান থেকে মহারাষ্ট্রের একটি পশু হাটে নেয়ার জন্য বেশ কিছু গরু পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল এমন সন্দেহে ২৪ জনকে শাস্তি দেয়া হয়েছে।

গবাদি পশু নিয়ে যাওয়ার সময় ছয় মুসলিম ধর্মাবলম্বীসহ ২৪ জনের একটি দলকে হেনস্তা করা হয়। এই ঘটনার পেছনে হাত রয়েছে মধ্য প্রদেশের খন্ডওয়া জেলায় গো-রক্ষকদের একটি দলের।

আরও পড়ুন >> শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা, যৌনাঙ্গ কর্তন

মারধরের পর মোবাইলে ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দলের ১৫ জনের হাত দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় রাস্তা দিয়ে হাঁটু মুড়ে বসিয়ে ওই অবস্থাতেই চলতে বাধ্য করা হয়। তখনও তাদের মুখে তখন শোনা যাচ্ছে ‘গো মাতা কি জয়’ ধ্বনি।

ভিডিওটিতে আরও দেখা যাচ্ছে, সাদা শার্টের একজন মানুষ মোবাইলে সবার মুখের খুব কাছে গিয়ে ভিডিও করছেন। সবাই ‘গো মাতা কি জয়’ বলছেন কিনা তা নিশ্চিত হতেই এমনটা করেন তিনি। এ ছাড়া বাকি দুজন নজর রাখছেন হাত-বাঁধা মানুষগুলো যাতে যালাতে না পারে।

আরও পড়ুন: মারা গেছেন ৩৩০ কেজি ওজনের নুরুল হাসান

জেলার পুলিশ পরিদর্শক শিবদয়াল সিংয়ের মতে, পশু সরবরাহকারীরা মালবাহী গাড়ি এবং গবাদি পশুর মালিকানার দাবি জানালেও তারা সেই মালিকানা প্রমাণ করতে পারেননি। তাই এখনো কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ২৪ জনের ওই দলটি কোনও বৈধ কাগজপত্রও দেখাতে পারেনি। ফলে, যানবাহন এবং গবাদি পশুগুলো জব্দ করেছে মধ্যপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ২৪ জনের ওই দলটি এসেছে মধ্যপ্রদেশের খন্দওয়া, সেহোর, দেওয়াস ও হার্দা জেলা থেকে। এদের মধ্যে ছয়জনই মুসলিম।

নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের ওপর পাল্টা অভিযোগ তুলে গোরক্ষক দল বলছে, সাভালিকেরা গ্রাম থেকে ২৪ জন পাচারকারী ২০টি গবাদি পশু নিয়ে যাচ্ছিলেন পশু হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে। মাঝপথেই সবাই ধরা পড়ে। এরপর তাদের বেধে রাখা হয়।

টিটিএন/এসএ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন