কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকার পতনের মুখে
গত লোকসভা নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বার দলের ভরাডুবি। সভাপতি রাহুল গান্ধী পদত্যাগ করেছেন। আর এর মধ্যেই এলো আরেকটি দুঃসংবাদ। কংগ্রেসের এমন অবস্থার সুযোগে ক্ষমতাসীন বিজেপি কর্ণাটক প্রদেশে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রদেশের ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস জোটের মোট ১১ জন বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। তারা স্পিকারকে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং রাজ্যপালকেও তাদের পদত্যাগের কথা জনিয়েছেন।
স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে ২২৪ আসন বিশিষ্ট কর্ণাটক বিধানসভায় জোটের আসন কমে দাঁড়াবে ১০৭টিতে। এ ছাড়া জোটে থাকা ২ টি স্বতন্ত্র এবং বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) ১ টি আসনও যদি কংগ্রেস হারায় তাহলে বিজেপির ১০৫ সদস্যের তুলনায় কংগ্রেস জোটের আসন সংখ্যা দাঁড়াবে ১০৪টিতে।
স্পিকার রমেশ কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরকার থাকবে না পতন ঘটবে তা নির্ধারিত হবে বিধানসভায়। যে ১১ জন বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন তাদের মধ্যে ৮ জন কংগ্রেসের আর ধর্মনিরপেক্ষ জনতা দলের (জেডিএস) ৩ জন।
২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনে প্রদেশের মোট ২২৪টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পায় ৮০টি এবং বিজেপি পায় ১০৫টি আসন। তবে ধর্মনিরপেক্ষ জনতা দলের ৩৭ জন এবং বহুজন সমাজ পার্টির ১ জন বিধায়ককে নিয়ে জোট করে সরকার গঠন করে কংগ্রেস।
বিজেপিকে রুখে সরকার গঠন করলেও প্রথম থেকেই জোট শরিকদের মধ্যে মতৈক্য ছিল না। যদিও মুখ্যমন্ত্রী হন জনতা দলের এইচ ডি কুমারাস্বামী। তবে লোকসভায় কর্ণাটকে বিজেপি দারুণ সফলতা পায়। মোট ২৬ টি লোকসভা আসনের মধ্যে তারা জয়ী হয় ২৪টিতে। আর কংগ্রেস এবং জনতা দল একটি করে আসন পায়। তারপর থেকেই প্রদেশে সরকার গঠনের চেষ্টা শুরু করে বিজেপি।
Karnataka Congress MLA ST Somashekar outside Sofitel hotel in Mumbai: We 13 MLAs submitted resignation to the Speaker & informed Governor. We all are together. No question of going back to Bengaluru & withdrawing the resignations. pic.twitter.com/0ae0ttAlgo
— ANI (@ANI) July 7, 2019
এসএ/এমএস