লন্ডনে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে মিলল আমিরাতি প্রিন্সের মরদেহ
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স ও ৩৯ বছর বয়সী ফ্যাশন ডিজাইনার খালিদ আল কাশিমি লন্ডনে মারা গেছেন। আমিরাতের শারজাহ শহরের শাসক শেখ সুলতান বিন মুহাম্মদ আল কাশিমির একমাত্র জীবিত ছেলে ছিলেন তিনি। লন্ডনে তার এই মৃত্যুর কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি ব্রিটেন।
শারজাহর শাসকের ছেলে ও প্রিন্স খালিদ আল কাশিমিকে পশ্চিম লন্ডনের নাইটসব্রিজের বিলাসবহুল একটি অ্যাপার্টমেন্টে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। লন্ডন কর্তৃপক্ষ তার মরদেহ ব্যাখ্যাহীন পরিস্থিতিতে উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে।
সোমবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই অ্যাপার্টমেন্টে অবচেতন অবস্থায় তাকে দেখতে পাওয়া যায়। পরে অ্যাপার্টমেন্টের নিরাপত্তাকর্মীরা লন্ডনের জরুরি সার্ভিসের নাম্বারে টেলিফোন করে জানান।
পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর এক বিবৃতিতে জানায়, পশ্চিম লন্ডনের নাইটসব্রিজের বিলাসবহুল একটি অ্যাপার্টমেন্টে ৩০ বছরের কাছাকাছি বয়সের এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে তার এই মৃত্যু ব্যাখ্যাহীন পরিস্থিতিতে হয়েছে বলে পুলিশের বিবৃতিতে জাননো হয়।
মঙ্গলবার আমিরাতের এই ক্রাউন প্রিন্সের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে তার মৃত্যুর কোনো কারণ ময়নাতদন্তে জানা যায়নি।
প্রিন্স খালিদ আল কাশিমির মরদেহ দেশে আনার পর বুধবার দাফন করা হয়েছে। এদিকে, প্রিন্স খালিদের মৃত্যুতে দেশটিতে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও পতাকা অর্ধনমিত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সূত্র : সিএনএন, দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
এসআইএস/জেআইএম