ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো নিষিদ্ধ হলো ই-সিগারেট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:৪০ এএম, ২৬ জুন ২০১৯

ইলেকট্রনিক সিগারেট বা ই-সিগারেট নিষিদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শহর হতে যাচ্ছে সান ফ্রান্সিসকো। মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভোটের মাধ্যমে শহরটির দোকানগুলোতে ই-সিগারেট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সেই সঙ্গে অনলাইনেও এটা বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় ই-সিগারেট তৈরি কোম্পানি জুল ল্যাবস। এ কোম্পানিটি ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত। জুল ল্যাবস কর্তৃপক্ষ বলছে, ই-সিগারেট বন্ধ করলে ধূমপায়ীরা আবার সিগারেটের দিকে ঝুঁকবে। সেই সঙ্গে একটি কালোবাজার তৈরি করবে।

ই-সিগারেট বন্ধে আইন প্রণয়নে স্বাক্ষর করতে সান ফ্যান্সিসকোর মেয়র লন্ডন ব্রিডের হাতে এখনও ১০ দিন সময় আছে। স্বাক্ষরের দিন থেকে আইনটি সাত মাসের জন্য কার্যকর করা হবে। তবে আইনটি কার্যকরে বিরাট চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

ধূমপান বিরোধীরা বলছে, কোম্পানিগুলো তরুণদের টার্গেট করে পণ্য উৎপাদন করে। সমালোচকরা বলছেন, অল্প বয়সীদের সিগারেটের দিকে ঝুঁকতে উৎসাহিত করে ই-সিগারেট।

চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) ২০২১ সাল পর্যন্ত ই-সিগারেট পণ্যগুলো মূল্যায়নের জন্য কোম্পানিগুলোকে প্রস্তাবিত নির্দেশিকা জারি করে।

এর আগে ই-সিগারেট মূল্যায়নে ২০১৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু কোম্পানিগুলো জানায়, এ বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য তাদের আরও সময় লাগবে।

সান ফ্রান্সিসকো শহরের অ্যাটর্নি ডেনিস হেরারা ই-সিগারেট নিষিদ্ধে ক্যাম্পেইন প্রচারণা করছেন। তিনি এ আন্দোলনের প্রশংসা করেছেন। ডেনিস হেরারা বলেন, এটা বন্ধ হওয়া দরকার।

২০১৭ সালে সান ফ্রান্সিস্কোর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার (ইউসিএসএফ) এক গবেষণায় উঠে আসে, ২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ধূমপানের যে হার ছিল, ২০১৪ সালে সাধারণ ধূমপায়ী ও ই-সিগারেটের নেশায় আসক্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে।

তবে ইউসিএসএফ সেন্টার ফর টোব্যাকো কন্ট্রোল রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডুকেশনের গবেষক লরেন দুতরা বলেন, ই-সিগারেট আসার পর ধূমপানের হার কমে যাওয়ার কোনো প্রমাণ নেই। অনেক ধূমপায়ী তরুণ যেমন সিগারেট ছেড়ে ই-সিগারেট ধরেছেন, তেমনই অনেকে নতুন করে ই-সিগারেটের নেশায় আসক্ত হয়েছেন, যারা আগে ধূমপান করতেন না। ফলে সামগ্রিকভাবে ধূমপায়ীর সংখ্যা বাড়ছে।

সূত্র : বিবিসি

এমএসএইচ/জেআইএম

আরও পড়ুন