ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

সৌদি কূটনীতিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:৩৮ এএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ভারতে নিযুক্ত সৌদি আরবের একজন কূটনীতিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির পুলিশ। রাজধানী দিল্লির গুরগাঁও শহরের পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসি।

কূটনীতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গুরগাঁওতে তার বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে তিনি দুজন নেপালি মহিলাকে টানা কয়েক মাস ধরে আটকে রেখে নিয়মিত ধর্ষণ করেছেন, তাদের ওপর বিকৃত যৌন নির্যাতনও চালানো হয়েছে।

সোমবার রাতে স্থানীয় একটি এনজিও`র অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে দুই নেপালি নারীকে উদ্ধার করেছে। দিল্লির নেপাল দূতাবাস গোপন সূত্রে এই নির্যাতনের খবর পেয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছিল।

উদ্ধার হওয়া দুজন নেপালি নাগরিক, যাদের একজনের বয়স ৫০ বছর ও অন্যজনের বয়স ২০ বছর। ওই কূটনীতিকের ফ্ল্যাটে প্রায় চার মাস ধরে তাদের আটকে রাখা হয়েছিল জানিয়েছেন ওই দুই নারী।

এই সময়ের মধ্যে তাদের ওপর বহু লোক প্রায়ই ধর্ষণ করতেন। তাদের নিয়মিত মারধার করা হয়েছে এবং অনেক সময় কিছুই খেতে দেয়া হয়নি। তাদের ফ্ল্যাটের বাইরে পা রাখারও অনুমতি ছিল না। এ ঘটনায় দুজন নেপালি নারীকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এই ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

গুরগাঁওয়ের পুলিশ ইতোমধ্যে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চেয়েছে, অভিযুক্ত ওই সৌদি কূটনীতিকের কী ধরনের ‘ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি’ বা কূটনৈতিক রক্ষাকবচ আছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও পুলিশের কাছে ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে, সৌদি দূতাবাসের সঙ্গেও এ ব্যাপারে তাদের যোগাযোগ হয়েছে বলে জানা গেছে।

দিল্লিতে সৌদি দূতাবাস অবশ্য ওই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। সৌদি রাষ্ট্রদূত পুরো ঘটনাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।

নেপাল থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার মহিলা গৃহপরিচারিকার কাজের জন্য ভারতে বা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পাড়ি দেন। কিন্তু তাদের অনেককেই অমানবিক পরিবেশে কাজ করতে হয় ও অকথ্য নির্যাতনের শিকার হতে হয় বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে। এই দুই নেপালি নারীও গত এপ্রিলে নেপালে ভূমিকম্পের পর কাজের সন্ধানে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি দেন বলে জানা গেছে। সৌদিতে জেদ্দায় দুসপ্তাহ কাটিয়ে মনিবের সঙ্গে তারা ভারতে চলে আসেন।

এসআইএস/আরআইপি