খামেনির ওপর নিষেধাজ্ঞার অর্থ কূটনৈতিক পথ চিরতরে বন্ধ : ইরান
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে কূটনৈতিক পথ বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে তেহরান। একেবারে সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানো চিরশত্রু এ দুই দেশের মাঝে গত এক সপ্তাহ ধরে তীব্র উত্তেজনা চলছে। তবে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে শান্তির একমাত্র পথও বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে ইরান।
সোমবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও দেশটির অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাবেদ জারিফের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আকাশসীমা লঙ্ঘনের দায়ে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত প্রযুক্তির একটি গ্লোবাল হক ড্রোন ভূপাতিত করে ইরান। পরে তারা জানায়, মার্কিন এই ড্রোন হরমুজ প্রণালীর কাছে ইরানের আকাশ সীমা লঙ্ঘন করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ড্রোন ভূপাতিতের এই ঘটনার পরপর ইরানে হামলা চালাতে মার্কিন সামিরক বাহিনীকে নির্দেশ দেন ট্রাম্প। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করেন তিনি। শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, অনেক মানুষ মারা যাবে চিন্তা করে তিনি শেষ মুহূর্তে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
মঙ্গলবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি এক টুইটে বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এবং কমান্ডারের বিরুদ্ধে অর্থহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে কূটনৈতিক পথ স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেল। ট্রাম্পের বেপরোয়া প্রশাসন বিশ্ব শান্তি এবং নিরাপত্তার আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে।
এদিকে, টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ‘খামেনির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বাস্তব কোনো প্রভাব নেই, কারণ ধর্মীয় এই নেতার বিদেশে কোনো সম্পদ নেই।’
এসআইএস/জেআইএম