ইরানের এমন অবস্থা হবে যা আগে কেউ দেখেনি : ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, যুদ্ধ হলে তাদের (ইরানের) এমন অবস্থা হবে যা কেউ এর আগে কখনো দেখেনি। গত সপ্তাহে ইরান মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার পর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থার প্রেক্ষিতে এমন হুশিয়ারি উচ্চারণ করলেন তিনি।
গত সপ্তাহে ইরান তাদের আকাশসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক ড্রোন ভূপাতিত করে। আর এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ট্রাম্প ইরানে হামলার নির্দেশ দেন। পরে অবশ্য সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। ওয়াশিংটন বলছে, তাদের ড্রোনটি পারস্য সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমার উপরে অবস্থান করছিল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের মিট দ্য প্রেসে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয় তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনিকে সরাসরি কি বার্তা দিতে চান। জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চান না কিন্তু সামরিকভাবে মুখোমুখি হলে ইরান কোনো সুযোগই পাবে না।
ট্রাম্প তেহরানকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘আমি কোনো যুদ্ধ চাই না তবে যদি সেটা হয় তাহলে এমন কিছু ঘটবে যা আপনি জীবনে কখনো দেখেননি। কিন্তু আমি সেটা করতে চাই না কিন্তু আপনি কোনো পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবেন না। আপনি যদি আলোচনা চান তাহলে ভালো। অন্যথায় আপনার (ইরানের) আগামী তিন বছরের অর্থনৈতিক অবস্থার শোচনীয় হবে।’
আলোচনা নিয়ে ওয়াশিংটনের কোনো পূর্বশর্ত আছে কি না ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘না আমি ওটা নিয়ে উদ্বিগ্ন না। কোনো পূর্বশর্ত নেই।’ ট্রাম্প আরও জানান যে, তিনি ইরানের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। আর তা নাহলে তাদেরকে আগামীতে অনেক বছর অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার ইরান যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচর ড্রোন ভূপাতিত করার পর ওয়াশিংটন-তেহরানের মধ্যে চলা উত্তেজনা যুদ্ধাবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে। ড্রোন ভূপাতিত করার জবাবে ইরানে হামলার অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে অবশ্য তিনি তার মত পাল্টান।
ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ছয় জাতির পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত বছর নিজের দেশকে প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প। যার কারণে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তেই থাকে। এ ছাড়া গত দুই মাসে দুবার মধ্যপ্রাচ্যে তেলের ট্যাংকারে হামলায় ইরান জড়িত বলে ওয়াশিংটনের দাবি এবং মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ এখন চরমে।
এসএ/এমকেএইচ